দক্ষিণ চিনে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান। জানা গিয়েছে, চিনের ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝাউয়ের দিকে যাচ্ছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আচমকাই বিমানটি গুয়াংঝি প্রদেশের উপর ভেঙে পড়ে। যার জেরে সংলগ্ন পাহাড়ে আগুন ধরে গিয়েছে। CCTV ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই চিত্র। Boeing ৭৩৭ চিনের ওই জেট বিমান দুর্ঘটনার জেরে একাধিক যাত্রীর প্রাণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এখনও হতাহতের সংখ্যা জানা যায়ানি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল।
চিনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গুয়াংঝি প্রদেশের উজহাউ শহরতলী এলাকার তেঙ অঞ্চলে ভেঙে পড়ে এই বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। এদিন ভারতীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ চিনের কুনমিং প্রদেশ থেকে গুয়াংঝাউগামী ওই বিমানটি টেক অফ করে। কিন্তু, গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর আগেই সেটি ভেঙে পড়ে বলে খবর পাওয়া যায়। যদিও কী ভাবে এই বিমান ভেঙে পড়ল তা নিয়ে এখনও সঠিক কোনও তথ্য মেলেনি।
অন্যদিকে, এদিনই পাকিস্তানের করাচিতে জরুরি অবতরণ করানো হয় দিল্লি থেকে দোহাগামী একটি বিমানকে। জানা গিয়েছে মোট ১০০ জন যাত্রী ছিলেন ভারতের ওই বিমানটিতে। সোমবার কাতার এয়ারওয়েজের QR579 নম্বর ফ্লাইটটি ১০০ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। আচমকাই মাঝ আকাশে ধোঁয়ার সংকেত পান পাইলট। কার্গো থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে বলে খবর মেলে। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের করাচিতে এমারজেন্সি ল্যান্ডিং হয় বিমানটির। সব যাত্রীকে সুরক্ষিতভাবে বিমান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।
ধোঁয়ার খবর এবং এমারজেন্সি ল্যান্ডিংয়ের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। যদিও পাইলটের নেওয়া দ্রত সিদ্ধান্তের জেরেই বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা। যাত্রীদের কাছে এই সমস্যার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ”আমরা আমাদের যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী এবং তাদের পরবর্তী ভ্রমণে সহায়তা করা হবে।” জানা গিয়েছে, দোহাগামী এই বিমানটি সোমবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে। সেটি ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে করাচিতে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
Be the first to comment