বিধানসভায় আসন বদল বিজেপির বিক্ষুব্ধ চার বিধায়কের

Spread the love

বিধানসভায় এবার আসন বদল হল বিজেপির চার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির টিকিটে জয়ী এই চার বিধায়ক ৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সোমবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের আসন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেই আসন বদল হয়েছিল আরেক বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের ৷ এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও চার বিধায়কের নাম ৷

এদিন যে চার বিধায়কের আসন বদল হল তাঁরা হলেন, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ এবং কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় ৷ বিধানসভা এখন থেকে অধিবেশন কক্ষের ৬৭ থেকে ৭১ নম্বর আসনেই বসবেন মুকুল রায়-সহ এই পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। আনুষ্ঠানিকভাবে এই আসন বদলের কথা ঘোষণাও করা হয়েছে বিধানসভা কক্ষে।

সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই দেখা যায় আসন বদল করা হয়েছে এই বিধায়কদের। পরে অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন বিজেপি বিধায়কের তরফ থেকে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদের আসন বদল করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে ৬৭ থেকে ৭১ নম্বর আসনেই বসবেন এই পাঁচ বিজেপি বিধায়ক । এত দিন তাঁরা বসতেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডান পাশের ব্লকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারিতে। কিন্তু এবার তাঁদের আসন দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতার বাঁ পাশের তিন নম্বর ব্লকে।

উল্লেখ্য,বিধানসভার চলতি অধিবেশনের ফাঁকেই দিন কয়েক আগে কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ ও সৌমেন রায় বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বিরোধী দলনেতা তাঁদের হুমকি দিয়েছেন ৷ বিষয়টির ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছে বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি ৷ তবে এই তদন্ত চলাকালীন যাতে নতুন করে কোনও সমস্যা না তৈরি হয় সেই জন্য আগেভাগে এই বিধায়কদের আসন বদলে দিলেন অধ্যক্ষ।

এদিন তাঁদের আসন বদল প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, বিরোধী দলনেতার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আমরা অধ্যক্ষের নজরে এনেছি। অধ্যক্ষ নিজেও বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে দেখেছেন অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। তাই আজ তিনি আসন বদল করে দিয়েছেন।

বিধায়কদের এই আসন বদল প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মিহির গোস্বামী বলেন, ওই বিধায়করা দলবদল করে অনেক আগেই তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তাই ওঁরা কোথায় বসলেন তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। বিরোধী আসনে বসে তো আর সরকারের ভজনা করা যায় না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*