আবারও উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার দিনের এই সফরে তাঁর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৮ মার্চ বিকেলে পৌঁছবেন শিলিগুড়িতে। ওই দিনই সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শেষ করে সেখানে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানা এই সফর।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সূচনাও করতে পারেন। সঙ্গে উপভোক্তাদের হাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি রাত্রিবেলা উত্তরকন্যায় কন্যাশ্রীতে উপস্থিত থাকার কথাও রয়েছে তাঁর। পরেরদিন অর্থাৎ ২৯ মার্চ সড়ক পথে পৌঁছবেন দার্জিলিং। রিচমণ্ড হিলে উঠবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ মার্চ দার্জিলিংয়ের ম্যালে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকেও একাধিক নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধনের কথা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সরকারি প্রকল্পের একাধিক সুবিধা পাহাড়বাসীর হাতে তুলে দেবেন বলেও জানা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার-সহ পদস্থ কর্তারা। ২৮ মার্চ এই মাঠেই সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা। স্টেডিয়ামের কোথায় মঞ্চ করা হবে, দর্শকদের বসার জায়গা কোথায় হবে, তা খতিয়ে দেখেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন বিকেলেই এসেছিলেন তিনি। এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরসভা এককভাবে তৃণমূল দখল করার পর প্রকাশ্য মঞ্চে সভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের অন্যত্র ঘাসফুল ফুটলেও শিলিগুড়িতে সাফল্য এসেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। অন্য দিকে সামনেই পাহাড়ের জিটিএর ভোট। সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে তৃণমূল বা তার দুই বন্ধু দল তেমন সাফল্য পায়নি। শৈলশহরের পুরবোর্ড দখল করে হামরো পার্টি। তাই জিটিএর নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই পাহাড় সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাহাড় সফরে আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠক করতে পারেন হামরো পার্টির সঙ্গেও। ভোটের ফলের পরই তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় পাহাড়ের উন্নয়নে হামরো পার্টিকে সবরকম সহযোগিতা করবে তারা। এবারে মুখ্যমন্ত্রী কী ঘোষণা করেন সেদিকেই নজর পাহাড়ের।
Be the first to comment