”গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিদিন বাংলায় মানুষ খুন হচ্ছে। তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে নিয়েও রেহাই নেই।” রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। তৃণমূল নেতা খুনের পরপরই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মহিলা, শিশু-সহ কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফের খুন। ‘বদলা’ নিতেই পরপর বাড়িতে আগুন। উত্তপ্ত বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। গতকাল রাতে বগটুই গ্রামের মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ (৩৮)। চার দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। উপপ্রধানের মৃত্যুর আক্রোশে বগটুই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুনে পুড়েই মহিলা, শিশু-সহ কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এদিকে রামপুরহাটে ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ সিপিএমের। সাংবাদিক সম্মেলনে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন, ”ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বাংলায় মানুষ খুন হচ্ছে। তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরেও কেউ নিরাপদ নন। সাধারণ মানুষ বা পুলিশ কেউই নিরাপদ নন। কে কাকে বাঁচাবে?”
রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতেই বাংলা অশান্ত করছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ এই বাম নেতার। এপ্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ”উচ্চপদস্থ আইপিএসদের একাংশ দলদাসে পরিণত হয়েছেন। পুলিশ-তৃণমূলে তফাত নেই। তৃণমূলের অপরাধীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অপরাধীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”
এদিকে, ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের এই ‘হত্যাকাণ্ড’-এর তদন্ত সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা থেকে রামপুরহাটে পাঠানো হচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার তদন্ত চলবে। এলাকা উত্তপ্ত থাকায় বগটুই গ্রামে বসেছে পুলিশ পিকেট। গ্রামজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
Be the first to comment