বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ‘হত্যাকাণ্ডে’ অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন টুইট করে একথা জানিয়েছেন। তিনি এই ঘটনা নিয়ে একাধিক টুইটও করেছেন এদিন। রাজ্যে একের পর এক খুনের ঘটনায় রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। বিধানসভার বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ হানেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি টুইটে লিখেছেন, “রাতভর এই বর্ববরতায় এখনও পর্যন্ত ১২ জন মারা গিয়েছেন। বেশিরভাগই মহিলা। এখনও পর্যন্ত দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যাও কমিয়ে দেখাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে প্রশাসন। প্রশাসন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।” সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “বিজেপির বিধায়করা বিধানসভায় ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপির পরিষদীয় দল ১২ টার পরে জ়িরো আওয়ারে উল্লেখ করেছে এবং আবেদন করেছে এবং স্লোগান দিয়েছে এই ঘটনা নিয়ে।” তিনি জানিয়েছেন এত বড় ঘটনা হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় এসে বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।
তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে এতগুলো গরিব মানুষ মারা গেলেন। গণহত্যা করা হল।” তাঁর আরও সংযোজন,”মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল নবান্ন থেকে বিধানসভায় এসে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখা।” এদিনের রামপুরহাট ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, “বাংলায় দ্রুত আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। গত সন্ধ্যায় বোমা হামলায় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা পরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।” প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের এই ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গতকাল রাতে ওই গ্রামের তৃণমূলের উপ-প্রধান বোমা হামলায় মারা গিয়েছেন বলে জানা যায়। তারপরই বগটুই গ্রামের সাত আটটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। সেই অগ্নিকাণ্ডে অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
Be the first to comment