বগটুই হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। রাজ্য ছাড়িয়ে এই ঘটনার আঁচ পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার পর প্রথম রামপুরহাট হত্যাকান্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে শহিদ দিবসে একটি গ্যালারি উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন নমো। ভাষণের শুরুতেই তিনি রামপুরহাটের বগটুইয়ে হিংসাত্মক হত্যাকান্ড নিয়ে দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আশা করছি এই জঘন্য কাজ করা দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবে রাজ্য।”
তিনি বাংলার জনগণের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন যে, এই নৃশংস ঘটনার দোষীদের মদতদাতাদের ক্ষমা না করেন। তিনি বলেছেন, “আমি রাজ্যকে আশ্বস্ত করছি যে অপরাধীদের তাড়াতাড়ি সাজা দিতে যে সাহায্য তাদের দরকার ভারত সরকার সেই সাহায্য় করবে।” প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গতকালই বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের কাছে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্যকে। রাজ্যের রিপোর্ট পেলে তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের টিম রাজ্যে পাঠানোর কথাও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বগটুই গ্রাম এখন এই নৃশংস হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত। তবে শুনশান। আতঙ্কে, সন্ত্রাসে গ্রাম ছেড়েছেন বহু বাসিন্দা। ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রতিবেশীরাও। থমথমে আবহাওয়া গোটা গ্রাম জুড়ে। সোমবার তৃণমূল পরিচালতি পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা হামলায় খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তারপরই বগটুই গ্রামের সাত থেকে আটটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অগ্নি সংযোগে একটি বাড়ি থেকেই সাতটি অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ডিজি। এই ঘটনায় সিট গঠন হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বারংবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তেরও দাবি করেছেন বিরোধীরা।
Be the first to comment