দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু রামপুরহাট হত্য়াকান্ড নিয়ে তোলপাড় হতেই বুধবার একদিনের জন্য কলকাতায় ফিরে এসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য ও রাজ্যপাল দুই তরফ থেকেই চিঠি – জবাবি চিঠি হয়ে গিয়েছে। মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্যও এসেছে। বগটুই হত্যাকান্ডের পর রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত আরও চরমে উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালকে পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে একটি শব্দও বলব না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলে দিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁর ভাবনা স্পষ্ট। আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই তা শুনেছেন। এই ধরনের হত্য়াকান্ড আমরা সাম্প্রতিক অতীতে দেখিনি। তিনি এর প্রতিবাদ করেছেন।”
রাজ্যপাল সেই সঙ্গে আরও বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অনুভূতিকে স্পর্শ করেছেন। মহিলা ও শিশুদের জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে – গণতন্ত্রে এর থেকে কষ্টের আর কিছু নেই। এই বিষয়ে এর বেশি আমি আর কিছু বলব না।” উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, “রাজ্যপালের মন্তব্যে অন্য দলের সুবিধা হচ্ছে।” অন্যদিকে রাজ্যপালও পাল্টা বলেছিলেন, “ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সিটের তদন্ত করা হচ্ছে।”
রাজ্য বনাম রাজ্যপালের এই দ্বন্দ্ব ক্রমেই তিক্ত আকার ধারণ করছে। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, রাজভবন থেকে বলে দেওয়া হয়, কোথায় অভিযান চালাতে হবে।” সন্ধ্যায় সেই নিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আগে বলেছিলেন রাজভবনে পেগাসাস রয়েছে। আপনারা কেউ কি মুখ্যমন্ত্রীকে কখনও প্রশ্ন করেছেন? এই ধরনের মিথ্যা কথা নিয়ে প্রশ্নের আমি কোনও উত্তর দেব না।”
সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আপনারা কখনও সৌগত রায়কে প্রশ্ন করেছেন? যিনি বলেছিলেন রাজ্যপাল রোজ তাঁকে মমতার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠান। একটাও মেসেজ পাঠানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজভবনে রোজ তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার আসে। আপনারা কোনওদিন প্রশ্ন করেছেন?” সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে আবেদন করেন, “গণতন্ত্রকে ধ্বংসের এই চেষ্টায় আপনারা যুক্ত হবেন না। রামপুরহাটে যা ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার। নারীত্বের জন্য লজ্জার।”
Be the first to comment