মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্য পুলিশের ওপর যে এই মামলায় ভরসা করা যাচ্ছে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার সকালেই সেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্বাভাবিকভাবেই এতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের গঠন করা সিট যাতে তদন্ত বন্ধ করে দেয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাসক দলের দাবি, পুলিশ যখন নিরপেক্ষ তদন্ত করছিল, তখন সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন ছিল না। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তদন্ত করুক আপত্তি নেই। কিন্তু, যদি বিজেপির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকে আড়াল করা হয়, তাহলে প্রতিবাদ করব আমরা।’ ‘সিবিআই নিরপেক্ষ নয়’, বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য বগটুইয়ের ঘটনা অনভিপ্রেত। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে যা যা করণীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রশাসন ও পুলিশ তা করেছে। যা যা করার, তার থেকে বেশিই করেছে। স্বজনহারা মানুষের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে তদন্তের অবকাশ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক রঙ দেখা যায়নি। সিট নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। তারপরও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। তৃণমূল সিবিআই-কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। কোনও বিরোধিতা করবে না। যেখানে রাজ্য সব ব্যবস্থাই নিচ্ছে, সেখানে সিবিআই তদন্ত হয় কী করে? রাজ্যে অতীতে গণহত্যার পর গণহত্যা হয়েছে। বাম আমলে সে সব জায়গায় কোনও মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন, এমন ছবি কেউ দেখাতে পারবে না।
বিজেপির দুই ভাই। ইডি ও সিবিআই। সিবিআই নিরপেক্ষ নয়, বিজেপির পক্ষে। এরপর আর রাজ্যের দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। দেখুক কী হয়েছে। তৃণমূলের লুকনোর কিছু নেই। অতীতে অনেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। তাপসী মালিক খুন থেকে নন্দীগ্রাম মামলা। কোনওটাতেই সুবিচার হয়নি।
দিল্লির দাঙ্গায় কেন সিবিআই? হাথরাসে উন্নাওতে নয় কেন? পুলিশ সঠিক পথে করছিল। যা করার তা করা হয়েছে। যদি বিজেপির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকে আড়াল করা হয়, তাহলে ছেড়ে কথা বলব না।
Be the first to comment