পাঁচদিনের দার্জিলিং সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ মার্চ শিলিগুড়ি সভা সেরে দার্জিলিং পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ মার্চ দার্জিলিংয়ের ম্যালে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা রয়েছে। সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ২৮ ও ৩০ মার্চ পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মমতা দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে জিটিএর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনিত থাপা ও সদ্য দার্জিলিং পৌরসভায় ক্ষমতায় আসা অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির নেতারাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
এমনকী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে মমতার সরাসরি সাক্ষাৎ হবে কিনা সেই নিয়েও নানা গুঞ্জন রয়েছে। ৩১ মার্চ দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি আসবেন মমতা, সেখান থেকে ১ এপ্রিল কলকাতা ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার এই পাহাড় সফর বেশ কয়েকটি কারণে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন স্থগিত। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচন করানো নিয়ে মুখ খুলেছেন। আরও একটি বিষয়, সম্প্রতি পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মমতাকে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। তাই মমতা এবার পাহাড়ের জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে বিশেষ আগ্রহী বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পাহাড়ের নির্বাচন হোক। এক সময়ের পাহাড়ের বেতাজ বাদশা বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরে গিয়েছে, প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অনিত থাপার দল ও হামরো পার্টিও রাজ্য সরকারের পাশেই রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মমতা তাদের মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করতে চান বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা পাহাড়ের এই স্থানীয় নির্বাচন গুলিতে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয় দলগুলির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে এই স্থানীয় দলগুলির সমর্থন চাইতে পারে তৃণমূল। ২০০৯ সাল থেকে বিজেপি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে জিতে আসছে। দল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর একবারও তৃণমূল এই আসনে জিততে পারেনি। তাই মমতা লোকসভার নির্বাচনে এই দলগুলির থেকে সমর্থন আদায়ে বিশেষ আগ্রহী বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পাহাড়ে গিয়ে মমতা এখন কী বার্তা দেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
Be the first to comment