চলতি অর্থবর্ষেই রফতানিতে রেকর্ড গড়েছে ভারত। ৩১ মার্চ, অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই ৪০ হাজার কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মন কি বাত অনুষ্ঠানে সেই সাফল্যকেই আরেকবার দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বলেন, “গত সপ্তাহেই ভারত ৪০ হাজার কোটি ডলার অর্থাৎ ৩০ লক্ষ কোটি টাকার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। এরজন্য আমি সকল ভারতবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
মন কি বাতের অনুষ্ঠানে কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, একনজরে দেখে নিন-
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “গত সপ্তাহেই ভারত ৩০ লক্ষ কোটি টাকার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। একঝলকে দেখে বিষয়টি অর্থনীতির বিষয় বলে মনে হলেও, এটা অর্থনীতির থেকেও অনেক বেশি কিছু। ভারতের কার্যক্ষমতা ও অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতাই তুলে ধরেছে এই সাফল্য। এটা প্রমাণ করছে যে গোটা বিশ্বেই ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
.ই-মার্কেটপ্লেস- এদিনের বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ক্রয়-বিক্রয় ও বাণিজ্যে বড় ভূমিকা পালন করছে দেশের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাই। সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তারা। প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আগে মনে করা হত যে, কেবল বড় বড় ব্যবসায়ীরাই সরকারের কাছে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারতেন, কিন্তু ই-মার্কেটপ্লেস সেই ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। এটাই নতুন ভারতকে তুলে ধরে।”
ভারতে উৎপাদিত নতুন নতুন পণ্য বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। মেড ইন ইন্ডিয়া পণ্য বিদেশেও পরিচিতি লাভ করছে। যখন সবাই ‘ভোকাল ফর লোকাল’-র মন্ত্র অনুসরণ করে, তবে স্থানীয় পণ্যগুলিও বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাবে।
সম্প্রতিই পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত বাবা শিবানন্দের প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই ১২৬ বছর বয়সী বাবা শিবানন্দকে দেখেছেন। সকলেই তাঁর শারীরিক ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে গোটা দেশে ওনার স্বাস্থ্যই অন্যতম চর্চার বিষয়। যোগাসনের মাধ্যমেই তিনি এত বয়সেও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পেরেছেন।”
জল সংরক্ষণ- প্রধানমন্ত্রী জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন। ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে জলের প্রয়োজনীয়তা এবং তা সংরক্ষণের জন্য ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে উদ্যোগের কথাও বলেন তিনি।
নারীশক্তির জয়গানও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আসুন, আমরা সকলে মিলে কন্যাসন্তানদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করি এবং নারীর ক্ষমতায়নের উপরে জোর দিই।”
Be the first to comment