এবার ভাদু শেখের অনুগামীদের খোঁজ, তল্লাশি অভিযানে পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষের বাড়িতেও সিবিআই

Spread the love

বগটুই গণহত্যার তদন্তে নিহত পঞ্চায়েত উপ প্রধান ভাদু শেখের বাড়িতে সিবিআই তদন্তকারী দল। ভাদু শেখের অনুগামী ও অগ্নিসংযোগ, ৯ জনকে কুপিয়ে,পুড়িয়ে খুনে  যারা অভিযুক্ত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বগটুই পশ্চিমপাড়া গ্রামে ভাদুর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। সুজন শেখ, যিনি ভাদুর প্রতিবেশী, ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তার খোঁজ করছে সিবিআই। সুজনের দাদুর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। সুজনের দাদুর বক্তব্য, ১০-১৫ দিন আগে নাকি তিনি গ্রামে এসেছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁর খোঁজ নেই।

যদিও সুজনের এক প্রতিবেশীর বক্তব্য, “খুনের ঘটনার পর দেহ যেদিন কবর দেওয়া হয়, সুজনকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে ফেরার।” সুজন শেখের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা খোঁজ করছেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও।

এছাড়াও পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ বাবর শেখের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে ভোটার তালিকা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কথা বলছেন না। রামপুরহাট থানার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কারণ তাঁরা গ্রামের রাস্তা, গ্রামের বাসিন্দাদের চেনেন।

গণহত্য়ার তদন্তে সোনা শেখের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। ভাদুর খুনের পর সেই রাতে সোনা শেখের বাড়িতেই আগুন ধরানো হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক সোনা শেখ। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই।

সোনার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বুধবার সকালেই গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই তাঁকে কী প্রশ্ন করল, তা জানতে চাওয়াতে সোনা শেখের ওই প্রতিবেশী বলেন, “কালু শেখ, আনওয়ার আলির খোঁজ করছিল সিবিআই।  ওরা তো বাড়িতে নেই। পালিয়ে গিয়েছে। এই তো পিছনের দিকেই ওদের বাড়ি। বোধহয় শ্বশুরবাড়ির দিকে পালিয়ে গিয়েছে। ব্যস, ওই টুকুই জানতে চায় সিবিআই। সেদিনের ঘটনার ব্যাপারে আর কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। আমরা তো কিছু জানিও না কোথায় যেতে পারে ওরা।” বুধবার সকালে বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গ্রামেই কন্ট্রোল রুম খোলে পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*