কিছুদিন পরেই রাজ্যসভাকে বিদায় জানাবেন মোট ৭২ জন সাংসদ। আজ সেই সাংসদদের বিদায় সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিদায়ী সাংসদদের উদ্দেশে আবেগপ্রবণ মোদি বলেন, ”আপনাদের বিপুল অভিজ্ঞতা দেশের চার প্রান্তে ছড়িয়ে দিন।” তিনি আরও বলেন, ”প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে অভিজ্ঞতার শক্তি বেশি।”
উল্লেখ্য, আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যেই অবসর নেবেন ৭২ জন সাংসদ। তাঁদের উদ্দেশে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদে আমরা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি। হাউজ আমাদের জীবনে অনেক অবদান রেখেছে, আমরা যতটা অবদান রেখেছি তার চেয়েও বেশি। সংসদের সদস্য হিসেবে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা দেশের চারপ্রান্তে ছড়িয়ে দিন।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেনে, “আমাদের সদস্যরা বিপুল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার থেকে অভিজ্ঞতার শক্তি বেশি। অবসর নিতে চলা সাংসদদের বলব, আবার আসবেন।”
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকজন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নেবেন এপ্রিল মাসে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মা, এ কে অ্যান্টনি, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, এম সি মেরি কম এবং স্বপন দাশগুপ্ত। এছাড়া নির্মলা সীতারমণ, সুরেশ প্রভু, এম জে আকবর, জয়রাম রমেশ, বিবেক তানখা, ভি বিজয়সাই রেড্ডির মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। জুলাইয়ে অবসর নেওয়া সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পীযূষ গোয়েল, মুখতার আব্বাস নকভি, পি চিদাম্বরম, অম্বিকা সোনি, কপিল সিব্বল, সতীশ চন্দ্র মিশ্র, সঞ্জয় রাউত, প্রফুল প্যাটেল এবং কে জে আলফোনস প্রমুখ।
রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হওয়া সাংসদদের বিদায়ী সংবর্ধনার পাশাপাশি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁর নিজ বাসভবনে বৃহস্পতিবার একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়েছে। রাজ্যসভার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের মতে, প্রায় ২০ বছর পর এই ধরনের অনুষ্ঠানে সাংসদরা তাঁদের সাংস্কৃতিক প্রতিভাকে ব্যক্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন।
Be the first to comment