হাতে আর মাত্র একদিন। ২ এপ্রিল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। এবারই প্রথম নিজের স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আনুমানিক ৭ লক্ষ। পরীক্ষায় যদি কোনও বেনিয়ম হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সমস্ত পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট আটকে দেওয়া হবে, জানালেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ফের খাতায়-কলমে পরীক্ষা। স্রেফ মাধ্যমিক নয়, গত বছরের নভেম্বর উচ্চমাধ্য়মিকের নির্ঘন্টও ঘোষণা করা হয়। এরপর সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রাস-র কারণে পরীক্ষার সময়সূচি বদল করার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরে আবার রাজ্যে উপনির্বাচনের জন্যও বড়সড় বদল ঘটে উচ্চমাধ্যমিকের সূচিতে। নবান্ন থেকে নয়া সূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছর করোনা আবহে বাতিল হয়ে গিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক। এবছর আবার নিজের স্কুলেই পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা। পরীক্ষাকেন্দ্রে এই প্রথম বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগে সিদ্ধান্ত নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানালেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি ঘরে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ২ শিক্ষক। যে বিষয়ের পরীক্ষা থাকবে, সেই বিষয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এর আগে, মাধ্যমিকে নকল রুখতে প্রয়োজনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে, মাধ্যমিক শুরু হওয়ার পর যদি কোথাও টোকাটুকি বা গন্ডগোল হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার। কতক্ষণ? পরীক্ষা চলাকালীন অর্থাৎ ৩ ঘণ্টা। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
Be the first to comment