আসানসোল ও বালিগঞ্জ শেষ মুহূর্তের প্রচারে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের সূচি তৈরি হলেও এখনও তৈরি হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারসূচি। আর সে কারণেই এখনও স্পষ্টভাবে না বললেও দলের তরফে যতটুকু জানা যাচ্ছে তাতে আসানসোল এবং বালিগঞ্জ উভয় ক্ষেত্রেই শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলতে পারেন মমতা।
আসলে এই দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত দুই ভোটে আসানসোল লোকসভা আসনে সেভাবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। এমনিতেই বিহারী ভোটার আধিক্য থাকা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকে। সেক্ষেত্রে তার প্রচারে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমোই। কিন্তু তার আগেই প্রচারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের শাসকদল চেষ্টা করছে দলনেত্রীর সভার ছাড়াও একটি মিছিলের আয়োজন করতে। তাহলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে পারবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
একইভাবে বালিগঞ্জের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার এই কারণেই বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ‘নো ভোট টু বাবুল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাবুলের বিরুদ্ধে যে প্রচার তার বিরুদ্ধে দলনেত্রীর নামলেই এই প্রচারকে ভোঁতা করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা সংখ্যালঘুদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র বালিগঞ্জ কেন্দ্রে জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই তৃণমূল।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী 6 এবং 7 এপ্রিল আসানসোল এবং বালিগঞ্জ উভয় ক্ষেত্রেই প্রচারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সে ক্ষেত্রে শেষ দু’দিন প্রচার করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এই প্রচারসূচির মধ্যে মিছিলও থাকতে পারে বলে খবর । সমস্যা হল এই মুহূর্তে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে গোটা রাজ্যে । তাই খোলা জায়গায় লাউড স্পিকার এর মাধ্যমে প্রচার করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আবার যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করলেই বিশাল জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা তাই এখনই তার মিছিল নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল । মোটের উপর ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা করে প্রচারে জোর দিতে চায় না রাজ্যের শাসকদল, তাই সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর ।
Be the first to comment