সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামন শুক্রবার সিবিআই প্রসঙ্গে বলেছেন, সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে।” তবে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সাম্প্রতিক সময়ে বগটুই হত্যাকাণ্ডে বারবার বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলকে। অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের রাজনৈতিক ‘বস’ কে তা নিয়েও জোর চর্চা হচ্ছে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে অনুব্রতরও। তবে এই সবকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না অনুব্রত মণ্ডল। বরং বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় সিবিআইয়ের প্রশংসাই শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, “এখনও বলব, সিবিআই যা করছে ভাল করছে। প্রশাসন সহযোগিতা করছে।
এরপরই বীরভূম জেলা সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি সিবিআইয়ের তদন্ত খুশি কি না। সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রতর জবাব, হান্ড্রেড পারসেন্ট। তাঁর আরও সংযোজন, সিবিআইকেও পুলিশ, প্রশাসন সবাই সহযোগিতা করছে। উল্লেখ্য, গরুপাচারকাণ্ডে আবারও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ৬ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তাঁকে পঞ্চমবার তলব করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই দিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচার কাণ্ডে মূল চক্রী এনামুল হক এর আগে জেরা করার সময় দাবি করেছিল, সে অনুব্রত মণ্ডলকে চিনত। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে খবর। অনুব্রতর সঙ্গে এনামূলের কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নিশানা করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। সেই নিয়ে জাতীয় স্তরের সব অ-বিজেপি নেতাদের চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সেই মমতারই অনুগত সৈনিক অনুব্রত মণ্ডল দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন সিবিআইকে। একেবারে একশোয় একশো।
Be the first to comment