বিজেপি করেন বলেই কাজ পাচ্ছেন না। প্রায় দেড় বছর কোনও সিনেমা বা সিরিজের কাজ তাঁর হাতে নেই। এমনই অভিযোগ রুদ্রনীল ঘোষের। একে প্রামাণ্য সত্য হিসেবেই দাবি করছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “যদি রুজি-রুটির জায়গাটা কায়দা করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিরোধী রাজনীতি করার অপরাধে, তখন তো মানুষকে ভাবতেই হবে। প্রিয় কাজটিকে আগলে রাখার জন্য রাজনীতি থেকে তাঁকে অব্যাহতি নিতেই হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ফোনে রুদ্রনীল জানান, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন তিনি। জনপ্রিয় শিল্পীরা যত সংখ্যক কাজ পেয়ে থাকেন, তিনিও সেরকমই কাজ পেতেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই পরিস্থিতি পালটে যায়। আচমকা প্রায় ১৬ মাস তাঁর হাতে কোনও কাজ নেই। অভিনেতার কথায়, “পরিচালক-প্রযোজক বন্ধুরা, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, তাঁরা পরিষ্কার করে বলেছেন বিজেপিটা ছেড়ে দে, নইলে তোকে কাজে নিতে অসুবিধা হচ্ছে।”
শুধু শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাই কাজ পেয়ে যাবেন। মাচা, ফাংশন পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে শাসকদলের দোষ-ত্রুটি নিয়ে কথা বললেই কায়দা করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই যে বিরুদ্ধ কণ্ঠের পেটে টান পড়লেই চুপ হয়ে যাবে। এমন আবহ পশ্চিমবঙ্গের রুচি বা সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না বলেই মত রুদ্রনীলের। তাঁর দাবি, এই সময় তাঁর মতো নিখাদ অভিনেতাদের কদর বাড়ছে। অথচ প্রায় দেড় বছর তিনি কোনও কাজই পাচ্ছেন না।
চলতি বছর মুুক্তি পেয়েছে ‘স্বস্তিক সংকেত’, ‘আবার বছর কুড়ি পরে’। দু’টি ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল। এপ্রিলে মুক্তি পাওয়ার কথা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অভিযান’। সে ছবিতেও রয়েছেন তিনি। তবে এই সমস্ত ছবির শুটিংই ২০১৯ এবং ২০২০ সালে করা। ২০২১ সালের পর থেকে তাঁর কাছে আর কোনও কাজ নেই বলেই দাবি রুদ্রনীলের। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন শিল্পী। তিনি অনেক বিষয়ে মাথা না ঘামালেও তাঁর অনুচরেরা আগ বাড়িয়ে অনেক কাজ করে ফেলেন বলে জানান রুদ্রনীল। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন অভিনেতা।
Be the first to comment