আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থা ও গালিগালাজ করায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত কক্ষে দুই আইনজীবীর সওয়াল-জবাব চলল প্রায় ২৫ মিনিট।
আলিয়া কাণ্ডে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের আইনজীবী এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, ৩৮৬ / ৩০৭ ধারা কেন প্রয়োগ করা হয়েছে? ( ৩০৭ ধারা – খুনের চেষ্টা, ৩৮৬ ধারা – কাউকে মৃত্যুভয় বা মারধরের হুমকি দিয়ে তোলাবাজি) কেস ডাইরিতে এর কোনও প্রমাণ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে ১ এপ্রিল। কেন ঘটনার দুই দিন কেটে যাওয়ার পর ৩ এপ্রিল মামলা রুজু করা হল? উপাচার্যের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটা সত্বেও কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিনই মামলা রুজু করল না? অন্য ছাত্রকে কেন এই মামলা রুজু করতে হল? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাব দেখিয়ে কারও কথা না শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে গিয়েছে দলবল নিয়ে। অস্ত্র নিয়ে ঢুকে উপাচার্যকে হুমকি দে । এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও তিনটি ঘটনা রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী, সেগুলি চার্জশিট পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, “এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। এরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের জায়গা করে তুলেছে।”
এর পরবর্তীতে গিয়াসউদ্দিনের আইনজীবী জানান, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখ থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকে। সে ক্ষেত্রে একজন যুবক কী করে তার দলবল নিয়ে এখানে ঢুকে গেল এত নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্বেও? সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, অভিযুক্তকে আগেই তাদের শাখা সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে আলিয়ার পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, গিয়াসউদ্দিন এর পরেও নিজেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বলেই পরিচয় দিয়ে এসেছে।
Be the first to comment