দলের উন্নতির জন্য কড়া হাতে হাল ধরতে অনুরোধ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধীকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন ছেলেমেয়েদের বদলে তিনিই হাল ধরে থাকুন দলের। অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মতো কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়া নেতানেত্রীদের ফিরিয়ে আনার। সেই ‘অপরাধেই’ তাঁকে পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হল। এমনটাই ঘটেছে তামিলনাড়ুর কংগ্রেস মুখপাত্র আমেরিকাই ভি নারায়ণানের সঙ্গে।
নারায়ণানের মতে, কংগ্রেসকে বাঁচাতে হলে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সরে দাঁড়ানো উচিত। তিনি আরও বলেছেন, “কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ভরসা ফিরিয়ে আনতে হলে, কংগ্রেসে প্রাক্তন নেতাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।” উদাহরণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন চার নেতার নাম, যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক লড়াইয়ে সফল হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়, জগন্মোহন রেড্ডি, শরদ পাওয়ার, কে চন্দ্রশেখর রাও- এঁদের অনুরোধ করা দরকার যেন তাঁদের রাজনৈতিক দলগুলিকে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত করেন।”
এইভাবেই জাতীয় কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে দাবি করেছেন নারায়ণান। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় এলে তিনি অন্যদেরও বোঝাতে পারবেন। এইভাবেই সকলের বিশ্বাস জন্মাবে যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরতে পারবে।” বরাবরই সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে মুখ খুলে এসেছেন আমেরিকাই ভি নারায়ণান। কংগ্রেস নেতৃত্বে সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ নিয়েও কখনই সমর্থন জানাতে দেখা যায়নি তাঁকে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন কংগ্রেসের সঙ্গে নিজের দলের সংযুক্তি করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণান জানিয়েছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এরপরে তিনি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হতে চান। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া বেশ কঠিন। “কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া অনেক সহজ হবে”, এমনই দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “আমি রাহুল গান্ধীকে পছন্দ করি, কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। সেই কারণেই আমি সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করেছি যেন তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় থাকেন। তাঁর সন্তানদের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে বলেন।”
Be the first to comment