অনুব্রতর সিবিআই হাজিরা নিয়ে খোঁচা কুণালের

Spread the love

সম্প্রতি বগটুই নিয়ে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটা ‘বাকযুদ্ধ’ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এবার অনুব্রতর সিবিআই তলব এড়ানো নিয়েও শ্লেষেরই সুর শোনা গেল কুণাল ঘোষের গলায়। সারদাকাণ্ড ঘিরে একাধিকবার সিবিআই জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কুণাল ঘোষকে। গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। বুধবার অনুব্রতর নিজাম প্যালেসে গরহাজিরা প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, কুণাল তুলে আনেন সেইসব দিনের কথা, যে সময় পুলিশ-সিবিআইয়ের ঘেরাটোপে দিন কাটত তাঁর। কুণালের কথায়, কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি হাজিরা এড়াননি। কারণ, তিনি ‘নির্দোষ’। কুণালের এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অনুব্রতর পাঁচবার সিবিআইকে ফেরানো কি তবে অন্য কোনও কারণে?

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “এখানে আমার বাড়তি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্যের কোনও কারণ ঘটেনি। এখানে আমি কোনও মন্তব্য করতেও চাই না। এটা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আমি শুধু ব্যক্তিগতভাবে বলি, যেহেতু আমি কোনওদিন কোনও অন্যায় করিনি। ফলে সিবিআই, ইডি, থানা যে যখন ডেকেছে নির্দিষ্ট দিনে আমি পাঁচ মিনিট আগে সেখানে উপস্থিত থাকতাম। কোনওদিন কেউ বলতে পারবে না কুণাল ঘোষকে ডেকেছে, অথচ কুণাল ঘোষ আসেনি।”

কুণাল এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও। কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে একাধিকবার তলব করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই ইডির দিল্লির দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন অভিষেক। কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতবার এতভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উত্যক্ত করা হচ্ছে। তিনিও আইনে লড়ছেন। তার মধ্যেও তিনি হাজিরা দিয়েছেন। মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসে প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।” এরপরই কুণালের সংযোজন, “তবে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে কী তা তাঁর চিকিৎসক বলতে পারবেন, আমার কিছু বলার নেই।”

গরু পাচার মামলায় পঞ্চমবারের জন্য সিবিআই তলব এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। কিন্তু এদিনই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে। অনুব্রত মণ্ডলের দুই আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ও সঞ্জীবকুমার দাঁ নিজাম প্যালেসে গিয়ে বিষয়টি জানান। একটি চিঠি দেন সিবিআইকে। সেখানে তাঁরা জানান, অনুব্রত মণ্ডলের খুবই ইচ্ছা ছিল এই হাজিরা দেওয়ার। কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ার কারণে যেতে পারলেন না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*