বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে ফের এক বার সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দিক থেকে তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়ে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন বালিগঞ্জ থেকে ৬০ হাজার এবং আসানসোল থেকে ২ লাখের বেশি ভোট জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।
এ দিন বাবুলের সমর্থনে বলতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন অভিষেক । বলেন, লড়াই চলছে, চলবে, শেষ দেখে ছাড়ব। ।বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বিধানসভা ভোটে আত্মসমর্পণ করিনি। মাথা উঁচু করে লড়াই করেছি। মানুষের ভোটে জিতেছিলাম। লড়াই করে জয় পেয়েছিলাম। মাথা নিচু করতে হলে মানুষের কাছে করব। তাঁর মন্তব্য, এর আগেও ইডি ডেকেছিল। ১০ ঘণ্টা জেরা করেছিল। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। বারবার কলকাতা বদলে দিল্লিতে ডেকে হয়রান করা হচ্ছে। অভিষেকের কথায়, কলকাতায় ডাকলে দরকারে রোজ যেতাম। কিন্তু এভাবে রাজ্যের একাধিক কাজ ফেলে দিল্লি যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই সুযোগটাই নিচ্ছে বিজেপি।
অন্য সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তৃণমূলের ‘ফারাক’ আছে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘‘দেশে বহু রাজনৈতিক দল আছে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, যদিও খাতায়-কলমে সর্বভারতীয় দল। মাঠে ময়দানে নেই, হাওয়া…জিরো। এনসিপি জাতীয় দল। তেমন তৃণমূলও সর্বভারতীয় দল। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য কী? যত রাজনৈতিক দল আছে সকলকে ইডি, সিবিআই দিয়ে একটু ধমকে চমকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। যত তাতাবে, যত পোড়াবে, যত প্রহার করবে, তত বিশুদ্ধ হবে। আমাকেও তো কত ধমকেছে, চমকেছে। দিল্লিতে ৯ ঘণ্টা জেরা করেছে। ভেবেছে কংগ্রেসের মতো বসে যাবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাসঘাতকের দল নই।’’
জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন অভিষেক। এই সরকার সাধারণ মানুুষের জন্য কোনও কাজ করেনি বলবেও এ দিন সুর চড়ান তিনি।
Be the first to comment