মগরাহাটের আমরাতলায় জোড়া খুন। প্রথমে গুলি, তারপর গলা কেটে দুই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম বরুণ চক্রব্রতী। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন বলে পুলিস জানিয়েছে। অপর যুবকের নাম মলয় মাকাল। এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় একটি ট্রাকে। পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে এসডিপিও-সহ বিরাট পুলিস বাহিনী হাজির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ বরুণ বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে খবর আসে, স্থানীয় একটি কারখানায় বরুণকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন ছুটে যান ওই সার কারখানায়। দেখা যায়, বরুণ এবং আর এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। কী কারণে এই খুন, বরুণের পরিবার জানাতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় গরু কেনাবেচার জন্য হাট বসে। সেখানেই গিয়েছিলেন বরুণ। কী কারণে তিনি হাটে যান, তাও পরিষ্কার নয়।
এলাকার বাসিন্দদের মধ্যে কারও কারও অভিযোগ, স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী এলাকার যুবকদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছে অনেক বছর ধরে। সেই যুবকদের মধ্যে অনেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পেয়েছেন। অনেকে পাননি। বরুণও সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি পাওয়ার আগে ওই দুষ্কৃতীদের টাকা দিয়েছিলেন। একটি সূত্রের দাবি, সেই টাকা ফেরত দিতেই এদিন ওই দুই যুবককে সার কারখানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
Be the first to comment