বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে রবিশংকর প্রসাদের মন্তব্যের কড়া জবাব কুণাল ঘোষের

Spread the love

সপ্তাহ পেরলেই রাজ্যে ফের ভোটের উত্তাপ। ১২ তারিখ রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন – আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা। প্রচার তুঙ্গে সব রাজনৈতিক দলেরই। শনিবার, শেষদিনের প্রচারে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। সেখান থেকে তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ”বাংলার পরস্থিতি খুব খারাপ। পুলিশি তদন্তের উপর আর ভরসা নেই জনতার।” পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। তাঁর কড়া জবাব, ”এহেন মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত রবিশংকর প্রসাদের।”

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী লড়াই ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। শেষদিনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই। সকালে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে রবিশংকর প্রসাদ এসেছেন। আর বিকেলে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রোড শো করবেন। তবে দিনের প্রথমার্ধ্বেই প্রচারযুদ্ধ জমে উঠল বিজেপি-তৃণমূলের। অগ্নিমিত্রার হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ”বাংলার পরস্থিতি খুব খারাপ। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত খারাপ। পুলিশের তদন্তের উপর আর ভরসা নেই জনতার। তাই একটি মামলা নিয়ে বারবার আদালতে ছুটে যেতে হচ্ছে জনতাকে।” এছাড়া তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ”শত্রুঘ্ন কতদিন তৃণমূলে থাকবেন? উনি তো লোকসভা ভোটে আমার কাছেই হেরেছিলেন।”

সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, ”বাংলা আসলে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারছে না। তাই বাংলার কুৎসা করতে নেমেছেন নেতারা। তবে রবিশংকর প্রসাদ যা বলেছেন, তার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাংলায় প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর তদন্তের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাবে।”

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কুণাল ঘোষ।  শুক্রবার এসএসসি নিয়োগ নিয়ে তাঁর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যে নিয়োগে দুর্নীতি তৈরি হয়েছে, তা ব্রাত্য বসুর আমলে হয়নি, হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। এমনই মন্তব্য ছিল তাঁর। শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কুণালবাবু। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ”পার্থদা দীর্ঘদিনের বন্ধু, সতীর্থ। সুখে-দুঃখে আমরা একে অপরের পাশে থাকি। বাড়ি যাওয়া কোনও নতুন ব্যাপার না। আজ তাঁর বাড়ি যাব, এটা জানিয়েছিলাম। তবে তাঁর একজন আত্মীয় বিয়োগ হয়েছে।  তাই উনি বাইরে চলে গিয়েছেন। আর এসএসসির বিষয় সরকারি। আমি দলের হয়ে কিছু বলব না। এ বিষয়ে যা বলবেন, পার্থদারাই বলবেন।” 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*