তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন-মৃত্যু তদন্তে সিবিআই

Spread the love

রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছিলেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফাল বৈষ্ণব ৷ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ এ বার সেই নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআইয়ের হাতে। নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা’র। আদালতে রাজ্য জানায়, “এফআইআর দায়ের হয়েছে। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবেশীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। ফরেনসিক আধিকারিকদের আসতে বলা হয়েছে, তারা এখনো আসেনি। তিনি যে ছাত্রদের পড়াতেন, তাদের কাছ থেকে খাতা নিয়ে হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে।” ইতিমধ্যেই তপন কান্দু খুনের তদন্তভারে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষী নিরঞ্জন বৈষ্ণব। খুনের পরই নিরঞ্জনের দাদা নেপাল বৈষ্ণব পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি লেখেন, ‘সকাল ৬.৩০টার সময় হঠাৎ তাঁর ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তার ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আমরা হতবাক হয়ে যাই। আমার সন্দেহ, পুলিস তাঁকে দিয়ে কিছু বলানোর বা লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আরও আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও সেটি সব সময় তাঁর কাছেই থাকত।’

গত ১৩ মার্চ বিকেলে খুন হন তপন কান্দু। কংগ্রেস কাউন্সিলরের বৈকালিক ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফাল। ৬ এপ্রিল নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেই নিরঞ্জনের দেহ। পাশে মিলেছে সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা , ‘যে দিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনও রকমে বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না… তার উপর পুলিশের বার বার ডাক।’ তবে তাঁর মৃত্যুতে কারও প্ররোচনা নেই বলেই লেখা নোটে— ‘আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। …সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা নেই।’ এ নিয়ে নেপাল বলেন, ‘এই আত্মহত্যা এবং সুইসাইড নোট থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, পুলিশের অত্যাচার কোন জায়গায় পৌঁছেছে।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*