ভোটের সকাল থেকেই বালিগঞ্জের পথে পথে দেখা গেল তাঁকে। স্বভাবগত ভঙ্গিতে বেশ খোশমেজাজেই কখনও কথা বললেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে, কখনও আবার সঙ্গী অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিলেন ভোটের হাল-হকিকত। উপনির্বাচনের ভোটে সকাল থেকে দুপুর বার বার নজর কাড়লেন যিনি, তিনি নিঃসন্দেহে তৃণমূলের বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়।
ভোটের দিন সকাল থেকেই কুল মেজাজে পাওয়া গেল বাবুল সুপ্রিয়কে। কখনও দিলেন জামার রঙের ব্যাখ্যা তো কখনও অনুগামীদের সঙ্গে সিঙ্গারা-কচুরিতে দিব্বি সারলেন প্রাতরাশ। ঘুরলেন বুথে বুথে। দুপুরের দিকে ক্ষনিকের বিরতিতে বাড়িতে গেলেন, গরমে আরাম পেতে শরবত খেলেন তৃণমূল প্রার্থী। সাংবাদিকদের প্রশ্নে বললেন, “ছোট্ট বিরতি। বাড়িতে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়েই আবার বেরোবো।”
একইসঙ্গে বিরোধীদের রিগিংয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। অযথা চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। রিগিং অভিযোগে কমিশন যা বলেছে সেটাই শেষ কথা। উপনির্বাচন শান্তিতে ও নির্বিঘ্নেই হচ্ছে বাংলায়।” মঙ্গলবার ভোটের সকাল থেকেই বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন কার্যত ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল মেজাজে৷ নিজেই গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরেছেন তিনি৷ মান্না দে-র গান গেয়ে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷ সবশেষে বেলা কিছুটা গড়াতে গরম কচুরি- সিঙারায় বালিগঞ্জের রাস্তায় প্রাতরাশ সারেন তৃণমূল প্রার্থী ৷
তবে সকাল থেকে একজন অবশ্য ঘন ঘন বাবুলের খোঁজ নিয়েছে! ভোটের জটিল অঙ্ক না বুঝলেও সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়া একরত্তি ফোনে বার বার জানতে চাইছে, ‘বাবার জিন্দাবাদ কেমন চলছে!’ দুপুরে বাড়ি ঢুকতে ঢুকতেও সেই পরিবারের কথাই বলছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বলেন, “বাবা স্ত্রী ও মেয়ে বার বার বলছে বাড়ি এসে একটু শরবত খেয়ে যেতে। তাই বাড়ি ঢুকছি।”
বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি যে নিঃসংশয়, সকাল থেকেই খোশমেজাজে থেকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাবুল৷ এমন কি, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বুথে ঢুকতে না দিলেও মেজাজ হারাননি৷ বরং গলা ছেড়ে মান্না দে-র ‘আমার সারাটাদিন কী ভাবে কেটে যায়, শুধু তুমি তুমি করে’ গেয়ে শুনিয়েছেন দলের কর্মী, সমর্থকদের৷ সবমিলিয়ে দিনভর নজর কেড়ে কার্যত বাইশের এই উপনির্বাচনে কার্যত ভোটের শো-স্টপার হয়েছেন তিনিই।
Be the first to comment