কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে পিকে-সোনিয়ার বৈঠকে একাধিক সম্ভাবনা উজ্বল হচ্ছে। ক্রমশ বাড়ছে প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনাও।
সূত্রের দাবি, শনিবার ১০ জনপথে সোনিয়ার বাসভবনে গিয়েই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশান্ত কিশোর। শুধু সোনিয়া নন, কংগ্রেসের প্রথম সারির একগুচ্ছ নেতা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপালরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। বস্তুত এর আগে বেশ কয়েকবার গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেও কংগ্রেসের অন্য নেতাদের সঙ্গে এই প্রথম আলোচনায় বসলেন পিকে। সেটাই তাঁর কংগ্রেস যোগের জল্পনা আরও বাড়াচ্ছে। সূত্রের দাবি, প্রথম সারির এই নেতাদের সামনে কংগ্রেসকে নিয়ে নিজের ‘ভিশন’ তুলে ধরছেন পিকে। তারপরই তাঁকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল।
কংগ্রেসের অন্দরের একটা অংশের দাবি, পিকে আসন্ন গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চান। বিশেষ করে গুজরাট বিধানসভায় কাজ করতে নাকি বিশেষভাবে আগ্রহী ভোটকুশলী। কংগ্রেসের আরেকটা অংশের আবার দাবি, শুধু গুজরাট বা হিমাচল নিয়ে আলোচনার জন্য সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে দেখা করেননি পিকে। তিনি সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিতে চান। এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কাজ শুরু করতে চান।
বস্তুত গত বছর এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরপর প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছিল। বেশ কয়েক দফায় গান্ধীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন পিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে আলোচনা একেবারে শেষ মুহূর্তে গয়ে ভেস্তে যায়। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ব্যর্থতার পর আবারও পিকে এবং কংগ্রেসের নৈকট্যের খবর শোনা যাচ্ছে। যদিও কোনও শিবিরই এ নিয়ে সরকারিভাবে কোনও পক্ষই সরকারিভাবে মুখ খোলেনি।
Be the first to comment