উপনির্বাচনে হারের পর দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে শুভেন্দু-সুকান্ত, খুশি লকেট-দিলীপ!

Spread the love

রাজ্যের দুই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সদস্যরাই এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দিকে তির ছুঁড়েছেন প্রার্থীদের ব্যর্থতার জন্য। আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। আর বালিগঞ্জে আরও খারাপ পারফরম্যান্স বিজেপির। সেখানে তৃতীয় স্থানে প্রার্থী কেয়া ঘোষ। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এনিয়ে বিজেপির একটি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বাংলার নেতৃত্বকে তোপ দেগেছেন তাঁরা। নিশানায় তাঁদের শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। এদিকে, দলীয় প্রার্থীদের এমন হতশ্রী দশায় নাকি বেশ খুশি লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ। কারণ, বঙ্গে দলের সাংগঠনিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা বারবার তুলে ধরছিলেন তাঁরা। অথচ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

গোড়া থেকে সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পদ বদলেছে। যার জেরে বঙ্গ বিজেপির দূরত্ব বেড়েছে বেশ খানিকটা। এমনকী উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকায়ও ছিলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ। সেসময়ই গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে। অন্দরমহলের খবর ছিল, ক্ষুব্ধ ওই বিজেপি নেতানেত্রী মনেপ্রাণে চাইছেন, বড় মার্জিনে পদ্ম প্রতীকের দুই প্রার্থী হেরে যান। দুই গেরুয়া প্রার্থীদের প্রচার নিয়ে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিচিত্র আচরণে প্রচণ্ড হতাশ বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের আদি বিজেপির কর্মীরাও। অভিযোগ, দলে নব্য ও তৎকাল বিজেপির হাতেগোনা দু’ চারজন নেতা ছাড়া কাউকে কিছু জানাচ্ছেন না। এমনকী প্রার্থীদেরও অধিকাংশ তথ্য জানতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

শনিবার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে চলে এল। টুইটে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্যদের নাম উল্লেখ করে আক্রমণ করেছে দলের একাংশ। এদিকে, আসানসোলে অনেক আশা জাগিয়েও হেরেছেন অগ্নিমিত্রা পল। ব্যবধান কমবেশি তিন লক্ষ। এই ফলাফল মেনে নিয়েই অগ্নিমিত্রা টুইট করেছেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পরাজয়ের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।

এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার ফলাফলের ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, ”নির্দিষ্ট জায়গার নির্দিষ্ট জনবিন্যাসের কারণে ভোটবাক্স পূর্ণ হয়নি। এছাড়া আসানসোলের প্রতিটি বুথে সন্ত্রাস হয়েছে।” যদিও এসব কথা যে নেহাৎই ‘অজুহাত’, তা মনে করে দলেরই একটা অংশ। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*