দিল্লিতে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মৃতের সংখ্যাও। তবে দিল্লির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও বর্তমানে বাংলার কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। যা গতকালের তুলনায় কম। করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট গতকালের তুলনায় কমে হল ০.৩০ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২৩ জন। তবে তার মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই করোনা মুক্ত হয়ে গিয়েছেন। বুলেটিন বলছে, একদিনে রাজ্যে কোভিড থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলার ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৩ জন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৯৩ শতাংশ। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬৬ জন। হাসপাতালে ভরতি ২৪ জন করোনা আক্রান্ত।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলা করোনায় মৃত্যুহীন। গত ২৪ ঘণ্টাতেও যেমন রাজ্যে করোনায় কেউ প্রাণ হারাননি। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে মারণ ভাইরাসের বলি ২১ হাজার ২০০ জন। কোভিডবিধি উঠে গেলেও অবশ্য সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা চলছে। একদিনে ৫ হাজার ৬৮২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৪৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। টেস্টিংয়ের পাশাপাশি টিকাকরণও চলছে জোরকদমে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৬১১ জন।
এদিকে, এবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিরা কর্বিভ্যাক্স টিকা পাবে, আইসিএমআর পলিসি ডুবিশিয়ন এমনটাই জানিয়েছে। এ নিয়ে নীতি আয়োগে আলোচনা চলছিল। বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের তরফে আবেদনও জানানো হয়েছিল। যুক্তি ছিল, কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন যদি বেসরকারি হাসপাতাল দিতে পারে, তাহলে কর্বিভ্যাক্সও দিতে পারবে। এই জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী নীতি আয়োগের থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। একটি ডোজের দাম ৯৯০ টাকা। একটি ভায়াল থেকে ২০ জন টিকা পেতে পারে। এর সঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ ১৫০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০৫০ টাকার কাছাকাছি খরচ হবে।
Be the first to comment