রাজ্যের পাঁচ গণধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, রাজ্যকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। আগামী ২২ মে ফের এই মামলার শুনানি। ওইদিনই রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ময়নাগুড়ি, নেত্রা, নামখানা, শান্তিনিকেতন ও পিংলা, এই ৫ টি গণধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় আদালতের হস্তক্ষেপ, সিবিআই (CBI) তদন্ত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে তদন্তের আরতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির লিগ্যাল সেলের মহিলা আইনজীবীরা। পুলিশি তদন্ত, সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে সংশয় প্রকাশ করেন মামলাকারীরা। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা। এরপরই রাজ্যের কাছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চায় আদালত। সেখানে রাজ্যের তরফে তথ্য দেওয়া হয়। এরপরই রাজ্যকে নির্যাতিতাদের পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের তরফে।
এদিকে এদিনই হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, এমনটাই খবর।
উল্লেখ্য, আগেই হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মতো তদন্ত চলছে। দফায় দফায় চলছে বয়ান রেকর্ড। মৃতা ও অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছে সিবিআই আধিকারিকরা।
Be the first to comment