মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাসাইমারা ঘোরার আমন্ত্রণ কেনিয়ার প্রতিনিধির

Spread the love

রোম, জার্মানির পর এবার মাসাইমারার নিমন্ত্রণ। বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন মাসাইমারা অরণ্য ভ্রমণের নিমন্ত্রণ। এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি। কেনিয়া থেকেও উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি। জানা গিয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাঁকে মাসাইমারা অরণ্য ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ জানান।

এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত সমস্ত দেশ-বিদেশের প্রতিনিধির কাছে বাংলার প্লাস পয়েন্ট তুলে ধরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা প্রসঙ্গে বিখ্যাত টুরিস্ট স্পটেরও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিমন্ত্রিত অতিথিদের তিনি সুন্দরবন দেখারও আমন্ত্রণ জানান। সুন্দরবনের পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার কথা শুনে মুগ্ধ কেনিয়ান প্রতিনিধি মাসাইমারার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিমন্ত্রণ করেন। উল্লেখ্য, মাসাইমারা পৃথিবীর সবথেকে বড় অভয়ারণ্য।

কোভিড অতিমারী পর্বে দু’বছরের জন্য বন্ধ থাকার পর এ বছর বসল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। এ প্রসঙ্গে বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিডের পর আমরাই প্রথম রাজ্য যারা বাণিজ্য সম্মলনের আয়োজন করতে পেরেছি। আমি গর্বিত। তিনি বলেন, নাসা থেকে ভাষা, সর্বত্রই বাংলার যুব সম্প্রদায় ছড়িয়ে রয়েছে। এভাবেই শিল্পপতিদের সামনে বাংলার জয়গান মুখ্যমন্ত্রীর।

এবারের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বড় বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে রাজ্য সরকার। দু’দিনের এই সম্মেলনে হাজির হয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা। বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার। তিনি বলেন, বাংলা নারীশক্তির প্রতীক।  গৌতম আদানির প্রতিশ্রুতি, ”আগামী দিনে বাংলায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করবে আদানি গোষ্ঠী। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাকরির সুযোগ হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ”সামাজিক সুরক্ষায় বাংলা দেশের মধ্যে সেরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সবাই বিনামূল্য চিকিৎসা পান। একশো দিনের কাজে আমরা দেশের সেরা। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণে আমরা এক নম্বরে। আমরা ধান উৎপাদন থেকে ই-টেন্ডারে এক নম্বরে। আমাদের রাজস্ব আয় চার শতাংশ বেড়েছে। একাধিক প্রতিদেশী দেশের সীমান্ত বাংলার গায়ে। অতিমারি পরিস্থিতিতেও বাংলার জিডিপি বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রবেশ দ্বার বাংলা। এ খানে ২০০টিরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*