কারখানায় ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে চিকিৎসা! মহেশতলার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু রোগীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ধুন্ধুমার। রোগীর পরিজনদের আরও অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের মৃতের পরিবারের।
মহেশতলা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দ নগরের বাসিন্দা বছর উনচল্লিশের সন্তোষ যাদব। গলব্লাডারের স্টোন নিয়ে মহেশতলার বদ্দিরবাদ এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি হন তিনি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় ভরতি হতে পারেন রোগী। তার ফলে অল্প খরচে অস্ত্রোপচার করা হবে। সেই মতো রবিবার মাঝরাতে রোগীকে তারা নার্সিংহোমে ভরতি করায়। কিন্তু পরিজনদের অভিযোগ, রবি থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত কোনওরকম চিকিৎসা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ শুরু করেনি। শুধুমাত্র স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
বুধবার রাত ন’টার সময় হঠাৎ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরিবারের লোকজনকে জানায়, “রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।” সে কথা শুনেই সন্তোষ যাদবের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে পৌঁছয়। তাঁরা দেখেন, আইসিইউতে ভরতি রোগীর কোনও প্রকার যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ করছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মনে হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও তখন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত করেনি।
রোগীর পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আইসিইউ ভাঙচুর চালান তাঁরা। তারপরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃত্যু হয়েছে রোগীর। মৃতের পরিবারের দাবি, কলকারখানায় ঝালাইয়ের কাজে যে ধরনের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেগুলি এই নার্সিংহোমে ব্যবহার করা হত। তাদের আরও অভিযোগ, নার্সিংহোমে রোনও পরিকাঠামো নেই। যে যন্ত্রাংশ দরকার সেগুলিও নেই। রাতেই মহেশতলা থানায় পরিজনেরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। রোগীর পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
Be the first to comment