রমজানের প্রার্থনার মাঝেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ৫ জনের। আহত প্রায় ৫০। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিতে মসজিদ বিস্ফোরণে (Blast) হামলা চলে। যদিও শাসকদলের তরফে স্থানীয় তালিবান নেতা মহম্মদ আসিফ ওয়াজেরির দাবি, অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়। এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানের মসজিদে দ্বিতীয় হামলা ঘটল। রমজানের মাসে এমন অশান্তির ঘটনায় আতঙ্কিত সে দেশের আমজনতা।
মাজার-ই-শরিফের শিতে মসজিদে দুপুর নাগাদ রমজানের প্রার্থনা চলছিল। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বোঝা যায়, বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রার্থনার রেশ কেটে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। ঘটনার অভিঘাত কাটতে না কাটতেই দেখা যায়, মসজিদ চত্বরে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয় স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জিয়া জেন্দানি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা অন্তত ৫০।
এর আগে, মঙ্গলবারও সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। সেদিন টার্গেট ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পশ্চিম কাবুলের মুমতাজ স্কুল চত্বর থেকে প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর মিলেছে দাস্ত-এ-বারচি এলাকার একটি স্কুল থেকে। তবে অন্য একটি সূত্রের খবর, একটি স্কুলেই পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। সাতজনের মৃত্যুর খবর মেলে। জখম বহু। সেবারও হামলা চলে শিতে সম্প্রদায়ের উপর।
প্রসঙ্গত আফগানিস্তানে শিতে সম্প্রদায় সংখ্যালঘু। রমজান চলাকালীন বারবার তাঁদের উপর হামলার ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষোভ বাড়ছে। বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাও। তালিবান শাসকদের দাবি, এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী।
Be the first to comment