দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, দিল্লিতে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য জারি নয়া গাইডলাইন

Spread the love

ক’দিন আগেই দেশের দৈনিক করোনা গ্রাফ নেমে গিয়েছিল হাজারের নিচে। প্রতিদিন একটু একটু করে অ্যাকটিভ কেস কমতে থাকায় ফিরছিল স্বস্তি। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ। দিল্লিতে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৫২৭ জন। গতকাল যা ছিল আড়াই হাজারের কম। এর মধ্যে দিল্লিতেই আক্রান্ত ১ হাজার ৪২ জন। তবে এর মধ্যেও খোলা স্কুল। তাই পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছে নয়া গাইডলাইন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পড়ুয়া করোনা পজিটিভ হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না। ক্লাসে অন্যের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। ভিড় এড়াতে স্কুলে প্রবেশ ও বাহির পথ ভিন্ন করতে হবে। এমনই একগুচ্ছ নিয়ম মেনে স্কুলে ক্লাস করতে হবে বলে নির্দেশ।

দিল্লিতে করোনা চোখ রাঙানোয় সব মিলিয়ে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ১৫ হাজার ৭৯। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ০.৫৬ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ০.৫০ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২২ হাজার ১৪৯।

দিল্লির করোনা গ্রাফ চিন্তায় রাখলেও দেশে সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৭২৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৬৫৬ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮৭ কোটি ৪৬ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ১৯ লক্ষের বেশি। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*