মেয়াদ শেষ হল রুপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্বপন দাশগুপ্তের ৷ আজই রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ হিসেবে তাঁদের সময় শেষ হচ্ছে ৷ দু’জনেই রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য ৷ স্বপন দাশগুপ্ত টুইট করে লিখেছেন, “আজ আমি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ সম্পূর্ণ করলাম ৷ বিগত 6 বছর আবিষ্কারের যাত্রাপথ ছিল ৷ বৃত্তের বাইরে থেকে সাধারণ মানুষের জীবনটা দেখতাম ৷ এখন নিজেই তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছি ৷ আমি বাংলাকে পুনরাবিষ্কার করেছি ৷ নতুন বন্ধু বানিয়েছি এবং কিছু শত্রুও ৷ উদীয়মান ভারতের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছি ৷”
আরেকটি টুইট করে স্বপন দাশগুপ্ত রাজনীতি থেকে চারটি বড় শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ৷ প্রথমত, বড় এবং দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা ৷ দ্বিতীয়ত, ফোনের উত্তর দেওয়া ৷ তৃতীয়ত, প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না ৷ এটা জানা জরুরি যে কখন কথা বলতে হয় এবং কখন নীরবতা বজায় রাখতে হবে ৷ চতুর্থ, ভদ্রভাবে কথা বলা এবং উল্টো দিকের মানুষটি যথাযত সম্মান প্রদর্শন না করলেও তাঁর প্রতি সম্মান বজায় রেখে চলা ৷
একুশের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে স্বপন দাশগুপ্ত তারকেশ্বর থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন ৷ এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় ৷
অন্যদিকে টুইট করে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ ভিএস রেড্ডিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ৷ পথপ্রদর্শক রেড্ডির নির্দেশিকা মেনে কাজ করে তাঁর দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে ৷ রূপা লিখেছেন, “আপনি আমার মতো নতুন সাংসদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ৷ আপনি খুব ধৈর্য ধরে আমাদের খামতিগুলো মেনে নিয়েছেন এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ৷ আমি অবশ্যই বলব, আপনি একজন খুব বড় শিক্ষক ৷”
ভি রেড্ডিও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ৷ তিনি পাল্টা প্রশংসায় লিখেছেন, “শ্রীমতি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিদায় ৷ সংসদে তাঁর অবদান এবং কমার্স কমিটিতে তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে মনে রাখব ৷ তিনি ফের রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে ফিরে আসুন ৷”
২০১৬-য় পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগের বছর ২০১৫-য় অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন ৷ পরে ২০১৬-য় তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলেন ৷ এ বছর অবসর নিচ্ছেন এমন ৭২ জন রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য ৩১ মার্চ একটি ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান হয় ৷
Be the first to comment