নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকার ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার আরও তিনজন। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। সকলেই মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি ওরফে সোহেলের বন্ধু বলে খবর পুলিশ সূত্রে। রবিবার বিকেলে এই তিনজনকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিচারক তাদের চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে হাঁসখালিতে কিশোরীর ধর্ষণ-মৃত্যুর পরদিনই মূল অভিযুক্ত হিসেবে তার প্রেমিক ব্রজ গয়ালিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ব্রজর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে। এরপর সিবিআই (CBI) তদন্তভার পাওয়ার পর এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল।
সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার রাতে হাঁসখালির ওই গ্রাম থেকে সুরজিৎ রায় নামে এক যুবককে আটক করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। রাতভর তাকে জেরা করা হয়। আরও ২ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এরপর সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দু’জনের নাম – আকাশ বাড়ুই, দীপ্ত গয়ালি। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জেরায় সুরজিৎ নামে যুবক স্বীকার করেছে যে ওইদিন ব্রজর জন্মদিনের পার্টিতে সে নিমন্ত্রিত ছিল। গিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর ফিরে এসেছিল নিজের বাড়িতে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সুরজিৎ জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পর নাবালিকার ধর্ষণ ও মৃত্যুর খবর পেয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছিল। কয়েকদিন আগে ফিরেছে। তবে তার মায়ের দাবি, ছেলে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ পেলেও সেখানে যায়নি। বাড়িতেই ছিল সারাদিন। বয়ানে এমন অসংগতি থাকায় রবিবার সকালে সুরজিৎ-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরা তিনজনই মূল অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। এদের রবিবার তোলা হয় রানাঘাট আদালতে। চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুই আগে নদিয়ার হাঁসখালির গ্রামে প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয় বছর পনেরোর নাবালিকার। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়। প্রশাসনকে না জানিয়ে আগেই দেহ দাহ করা হয়। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। জানা যায়, মেয়েটির প্রেমিক ব্রজ গয়ালির বাবা এলাকার তৃণমূল নেতা। নিহতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছে ব্রজ। এরপর তাদের জেরা করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ চলাকালীন সুরজিৎ ও আরও দু’জনের হদিশ পান তদন্তকারীরা। শেষমেশ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
Be the first to comment