করোনা আয়ত্তে এলেও প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হয়েছে, নিজের স্বার্থে মাস্ক-স্যানিাইজার ব্যবহার প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও বর্তমানে অধিকাংশের মুখে দেখা যাচ্ছে না মাস্ক। তার ফলও মিলছে। রোজই নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে রাজ্যবাসী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। যা আগের দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। তবে এদিনও মৃত্যু শূন্য বাংলায়।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে বর্তমানে পজিটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ০১২। এখনও পর্যন্ত ভাইরাস মোট ২১ হাজার ২০১ জনের প্রাণ কেড়েছে। মৃত্যুহার ১.০৫ শতাংশ। করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দৈনিক সুস্থতায় কমেছে কিছুটা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন সুস্থ হয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম। এখনও পর্যন্ত করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫৫৬ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৯৪ শতাংশ।
গত ২০২০ সালের শুরু থেকেই করোনায় থাবায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও একই পরামর্শ তাঁদের। তবে আমজনতার মধ্যে টেস্টিংয়ের আগ্রহ কমেছে কিছুটা। একদিনে ৮ হাজার ৯০৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ০.৪৬ শতাংশ।
করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ৭৩,১৫৯ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রিকশন ডোজ দেওয়াও শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলেই নিতে পারেন প্রিকশন ডোজ। শুক্রবার ২৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৬৯টি প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment