তীব্র দাবদাহে বাংলায় প্রথম মৃত্যু! প্রাণ গেলো হাওড়ার টোটোচালকের

Spread the love

 তীব্র গরমে হাঁসফাঁস দশা। খুব প্রয়োজন ছাড়ায় রাস্তায় না বেরনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতির জেরে অর্থাৎ তীব্র দাবদাহে চলতি বছরে প্রথম মৃত্যু হাওড়ায়। প্রাণ গেল টোটোচালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট হাতে এলে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।

জানা গিয়েছে, মৃত টোটোচালকের নাম বাসু মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। সোমবার দুপুরে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার সানপুর মোড় এলাকায় ছিলেন বাসু। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, তীব্র গরমের কারণেই এই পরিণতি ওই টোটোচালকের।

শুরুতেই এবার দাপুটে ইনিংস খেলছে গরম। বৈশাখের প্রথম ১০ দিনেই গরমে হাসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি যেন চাতক পাখি। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো যোগ হয়েছে তাপপ্রবাহ। সোমবার বেলা ১১টা থেকে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, তাপপ্রবাহ চলবে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত গলদঘর্ম হতে হবে বঙ্গবাসীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও চলবে তাপপ্রবাহ। ২৭ এবং ২৮ এপ্রিলও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরের মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দারাও পুড়বে গরমে। ইতিমধ্যে পশ্চিমের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। গতকাল বাঁকুড়ার তাপমাত্রা পারদ ছুঁয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি। এটাই সর্বোচ্চ। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, পানাগড়, আসানসোল, পুরুলিয়া, মালদহ-সহ একাধিক এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। কলকাতার বারাকপুর, দমদম এলাকায় তাপমাত্রা পেরিয়েছিল ৪০ ডিগ্রি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে হাওয়া অফিস।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*