জেলের বাইরে বের হওয়া হল না গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানির। জামিন পাওয়ার পরের মুহূর্তেই তাঁকে ফের গ্রেপ্তার করল অসম পুলিশ। এবার কোন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রাক্তন ছাত্রনেতা জিগনেশ মেবানি লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। তার পরই অসম পুলিশ গুজরাট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনদিন জেলবন্দি থাকার পর সোমবার জামিন পান জিগনেশ। কিন্তু জেলমুক্ত হওয়া হল না তাঁর। তার আগেই গুজরাটের নেতাকে গ্রেপ্তার করল অসমের বরপেটা থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তরুণ তুর্কি জিগনেশ বলেন, “এটা বিজেপি-আরএসএসের যৌথ ষড়যন্ত্র। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পরিকল্পনা করে তারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটা ওরা রোহিত ভেমুল্লার সঙ্গে করেছে, চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে করেছে। এবার আমাকে টার্গেট করছে।”
বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই তরুণ তুর্কি বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-সহ একাধিক ধর্মীয় কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক একাধিক টুইট করেছিলেন জিগনেশ। অভিযোগ পেয়ে তাঁর সেই সমস্ত টুইট মুছেও দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, দিল্লির জেএনইউর ‘আজাদি’ বিতর্কের সময় কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের সঙ্গে শিরোনামে এসেছিলেন জিগনেশ মেবানিও। প্রাক্তন সাংবাদিক জিগ্নেশ পরবর্তী সময় রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক হন। নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করে গুজরাটের বিধায়কও হন এই সমাজকর্মী। তবে ২০২১ সালে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে একইমঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করেন এই তরুণ তুর্কি। বছর শেষেই যখন মোদির রাজ্যে নির্বাচন, তার আগে এই তরুণ তুর্কির গ্রেপ্তারির জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Be the first to comment