অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে বলেই ইঙ্গিতে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার, অনুপম হাজরারা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনুপম।
ইদের বাজার করতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলামবাজার হয়ে ফিরছিলেন বোলপুরে। একটি গাড়িতে ছিল সাইগেলের ৩ বছরের মেয়ে ও এক পেট্রল পাম্প মালিক, মাধব দাস। অন্যগাড়িতে ছিলেন সাইগেল, তাঁর বড় মেয়ে ও স্ত্রী। ইলামবাজার এলাকায় ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগেলের একটি গাড়ির। সেটিতে ছিল মাধব দাস ও সাইগেলের ছোট মেয়ে। দুমড়ে মুড়চে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই দু’জনের।
সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুর্ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। এদিন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা ফেসবুকে লেখেন, “গতকাল রাতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের গাড়ির ‘দুর্ঘটনা’ ঘটেছে। সাইগলের মেয়ে মারা যায় ঘটনাস্থলেই। সাইগলের অবস্থা সংকটজনক। যতদূর জানি ওনার সবথেকে পুরনো, ‘সবথেকে বিশ্বস্ত’ এবং কাছের দেহরক্ষী সাইগল। আশা রাখব CBI-এর সঙ্গে লুকোচুরি খেলাকালীন, ওনার ‘খুব কাছের’ অন্য কোনও দেহরক্ষীর সঙ্গে এমনটা হবে না। ‘দুর্ঘটনা’র CBI তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি পৌঁছবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।”
বিভিন্ন মহলে সাইগেলের আহত হওয়ার, মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে ঠিকই। নেপথ্যে বিভিন্নরকম চক্রান্তের অভিযোগও উঠছে। তবে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাইগল সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। যে দুটি গাড়িতে তাঁরা ফিরছিলেন, পিছনেরটিতে ছিলেন সাইগল। আর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সামনের গাড়িটি। উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে দু’বার সাইগলকে তলব করেছিল সিবিআই। ২ বারই হাজিরা দিয়েছিলেন সাইগল।
Be the first to comment