বাঁকুড়ার তালডাংরার নির্যাতিত আদিবাসী যুবতীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রতিনিধি দল। কার্যত এলাকা ছেড়ে ফিরে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ বিজেপি নেতারা। পরিবারের লোকজন বাড়ির বাইরে থেকে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে শুভেন্দুকে জানিয়ে দিলেন, “কোন সাহায্যের প্রয়োজন নেই। মাঝি মাডওয়া ব্যাপারটা দেখছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। আপনার যে রাস্তা দিয়ে যেমন এসেছেন তেমনই চলে যান। কাউকে আমাদের দরকার নেই।”
গত রবিবার সকালে তালডাংরা থানার আমডাংরার জঙ্গলে এক আদিবাসী যুবতীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় আদিবাসী পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার বিকেলে তালডাংরা গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা-সহ বিজেপি নেতারা।
এদিন বিজেপি নেতাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেননি ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন। ওই আদিবাসী পরিবারের লোকজন বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, “রাজ্যে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। আমরা এই নির্যাতনের প্রতিবাদেই এসেছি। প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” শুভেন্দুর কথা শুনে অবশ্য ওই যুবতীর এক আত্মীয় তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মাঝি মাডওয়ার পক্ষ থেকে আমাদের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা আর কোন কথা বলতে চাই না। আপনাদের সাহায্যের কোন প্রয়োজন নেই।”
শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য পালটা বলেন, “আমরা সমবেদনা জানাতে এসেছি। যখন সাহায্যের প্রয়োজন হবে তখনই বলবেন। আমরা পাশে আছি।” তারই মধ্যে এক মহিলা বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা এসব নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। আপনারা যেমন এসেছেন তেমন চলে যান।” এই কথা শুনে কয়েক মিনিটের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা গ্রাম ছেড়ে চলে যান।
Be the first to comment