ছাত্রকে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার জন্য এবার বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুমিত বসুকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। এর আগে এই অভিযোগে ১৪ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি ৷ সদ্য তিনি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান ৷ এরপরেই সঙ্গীতভবনের এই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌকে রাস্তায় জাতি বৈষম্যমূলক ব্যঙ্গ করেন সুমিত বসু। তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের মণিপুরী বিভাগের অধ্যাপক ৷ এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্র। সিউড়ি জেলা আদালত অধ্যাপক সুমিত বসুর জামিন খারিজ করে দিয়ে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় ৷ এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অধ্যাপক। হাইকোর্ট তাঁর মামলা গ্রহণ করেনি। এরপরেই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ১৪ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
এদিন অধ্যাপক সুমিত বসুকে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় ৷ জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি যখন নিজের বিভাগে যোগ দিতে যান, তখনই জানতে পারেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ যদিও অধ্যাপক সুমিত বসু বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Be the first to comment