তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বাংলা। বাড়ি থেকে বের হতেই হাঁসফাঁস দশা। তীব্র গরমের জেরে চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। এবার সানস্ট্রোকে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম চপলা গায়েন। বয়স ৭০ বছর। ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটখোলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত নার্স তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন চপলা দেবী। প্রতিবেশীর বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রখর রৌদ্রে বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে গিয়েই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। ফলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফিরেও যান। এরপরই আচমকা মাটিতে পড়ে যান বৃদ্ধা।
পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাও হয় তাঁর। এরপর রাতে চিকিৎসকরা প্রাক্তন ওই নার্স কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সানস্ট্রোকে প্রাক্তন ওই নার্সের মৃত্যু হয়েছে। এই খবরে ইটখোলা গ্রামে শোকের ছায়া।
বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র গরমে কার্যত হাসফাঁস দশা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া অবশ্য এতটা অসহনীয় নয়। সেখানে মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু টানা প্রায় ২ মাস হয়ে গেল দক্ষিণে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি নেই, কালবৈশাখী তো এখনও অনাগত। এদিকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। চল্লিশের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই। সুস্থ থাকার জন্য নানা পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সেসব মেনেও পুরোপুরি নিরাপদে থাকা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, শুক্রবার বেলা বাড়তে গরমে অসুস্থতার খবর মিলল খাস নবান্ন থেকে। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের এক কর্মী এদিন অফিসের কাজে যোগ দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেটব্যথা ও বমি হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নবান্নেই চিকিৎসকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মী।
Be the first to comment