পরীক্ষা নিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত। নিয়োগের সবরকম প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও দেড় বছর ধরে বন্ধ খাদ্যদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া। অন্তত অভিযোগ তেমনই। আর শুক্রবার সকালে সেই অভিযোগ নিয়েই টালিগঞ্জে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুরুষ, মহিলা-সহ শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী জমায়েত করেন। বিক্ষোভের পারদ চড়তে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে পুলিশ। এদিকে, প্রবল রোদে খোলা রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন বিক্ষোভকারী। পরে বেশ কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এলাকাটি নিমেষের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
রাজ্য সরকারের খাদ্যদপ্তরে এসআই নিয়োগের কথা ছিল। পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণের পর চূড়ান্ত নিয়োগ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র পাননি অনেকেই। একাধিকবার দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এর প্রতিবাদে এবং দ্রুত নিয়োগের দাবি নিয়ে শুক্রবার টালিগঞ্জের মুদিয়ালি এলাকায় পিএসসি ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। দাবি একটাই – দ্রুত নিয়োগপত্র দিতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ ঘিরে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পিএসসি ভবনের মতো হাই সিকিউরিটি জোনে এমন বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় পুলিশের। টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে। এনিয়ে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে মুদিয়ালি এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন আইপিএস আকাশ মেঘারিয়া।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের প্রতিক্রিয়া, খাদ্যদপ্তরে কয়েকটি পদ শূন্য ছিল। সেসব পদে নিয়োগের জন্য পিএসসিকে জানানো হয়েছিল, যোগ্য প্রার্থীদের সেই পদে নিয়োগ করার জন্য। কিন্তু পিএসসি কোনও তালিকা পাঠায়নি, তাই নিয়োগ সম্ভব হয়নি। এতে খাদ্যদপ্তরের কোনও দায় নেই।
Be the first to comment