রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরেই কি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের মহড়া শুরু হতে চলেছে? শুক্রবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদার্পণের প্রাক্কালে রাজধানীর অলিন্দে এই জল্পনা তুঙ্গে। যদিও সম্পূর্ণ অন্য কর্মসূচিতে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কোনও বৈঠকের কথা নেই। দৃশ্যমান কোনও কর্মসূচি না থাকলেও তৃণমূল নেত্রীর রাজধানী সফর থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির পালটা সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানোর সলতে পাকানো শুরু হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী মিলিয়ে একজন প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা। এই ইস্যুতে কাদের কী ভূমিকা হবে, সেই জলটাই মেপে নিতে চায় অ-বিজেপি নেতৃত্ব। এখানে বড়সড় ভূমিকা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখনই হয়তো প্রকাশ্যে কিছু বলা হচ্ছে না, তবে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
দিল্লির বিশেষ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভোটের অঙ্কের হিসাবে খাতায়-কলমে যাই হোক, সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী হলে বিজেপি-বিরোধী হাওয়া জোরদার করা যাবে। সূত্রটি বলছে, আঞ্চলিক সমীকরণের বাইরে গিয়ে দেশের স্বার্থে এই লড়াই। যার ময়দানে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, আপ, ডিএমকে, কেসিআর, জনতা দলের একাধিক শাখা, শিবসেনা, এনসিপি-সহ বেশ কিছু দল এক মঞ্চে থাকবে। থাকবে বামেরাও। আলোচনা হবে কংগ্রেসের সঙ্গেও। ফলে সর্বসম্মত একজন বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানো যেতেই পারে। আর এমন উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি কাছাকাছি আসতে পারবে।
যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই সেই কাজ শুরু করেছিলেন। তাই তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জোর চর্চা রাজধানীতে। এমনকী, এ-ও শোনা যাচ্ছে যে, হার-জিতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার জন্য এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার দাঁড়াতে রাজি হলে বিরোধী শিবির তাঁকেই সামনে রেখে এগোবে। এবং এই গোটা সমীকরণের ভরকেন্দ্র হবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের একাধিক সাংসদের সঙ্গে অন্য দলের সাংসদদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে জমি তৈরি হতে শুরু করেছে। সকলেই বিষয়টি তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাচ্ছেন। পরবর্তী পর্যায়ে শীর্ষ নেতাদের কথা হবে।
Be the first to comment