সংবিধান রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে তিনটি সমান ভাগে ভাগ করেছে। প্রত্যেকেরই উচিত খেয়াল রাখা, যেন কেউ ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম না করে। এভাবেই নাম না করেই কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। উল্লেখ্য়, কয়েকদিন আগেই গ্যাংস্টার আবু সালেমের মুক্তি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল কেন্দ্র। এরপরই এদিন এমন কথা শোনা গেল প্রধান বিচারপতির মুখে।
শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে রামানা বলেন, ”সংবিধান রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সমান তিনটি শাখার মধ্যে বণ্টন করেছে। এই তিন শাখার মধ্যে ক্ষমতার সমবণ্টনই গণতন্ত্রের কাঠামোকে মজবুত করে। নিজেদের দায়িত্ব পালন করার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম না করি।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিচারপতি এসকে কৌল এবং এমএম সুন্দ্রেশের ডিভিশন বেঞ্চ আবু সালেম মামলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে সাফ জানিয়ে দেয়, “বিচারব্যবস্থাকে জ্ঞান দেবেন না। যেটা আপনাদের ঠিক করার কথা, সেটা আমাদের ঠিক করতে বললে আমরা সেটা ভালভাবে নিই না।” বিচারপতি এসকে কৌল সাফ জানিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্টের কী করা উচিত, সেটা স্বরাষ্ট্রসচিব বলতে পারেন না।”
এদিকে শনিবার জনস্বার্থ মামলার অপব্যবহার নিয়েও সরব হয়েছেন রামানা। তিনি বলেন, বহু ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটাতে এই ধরনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আদালত যে এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির অভিযোগ, অনেক সময় আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় থাকছে সরকার। এটা যে গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া আদালতগুলিতে স্থানীয় ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথাও জোরের সঙ্গে বলেন রামানা।এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছে। মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”বলেন, ”আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে জোর দিতে হবে আমাদের। এর ফলে আমজনতার বিশ্বাস বাড়বে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি। তাঁরা এর সঙ্গে আরও বেশি করে সংযোগ অনুভব করবেন।”
Be the first to comment