ঝালদা-কাণ্ডে সিটের তদন্তকারী অফিসারকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

Spread the love

ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসঙ্গতির অভিযোগ আগেই তুলেছিল সিবিআই। এবার এই খুনের তদন্ত করতে সিটের আইও অরুণাভ দাসকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। এছাড়াও শনিবার দ্বিতীয়বার ডেকে পাঠানো হয় কংগ্রেস নেতা দেবদুলাল চট্টরাজ, কুটিডি হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক যামিনী মণ্ডল, প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ চৌরাসিয়া এবং সুভাষ গড়াইকে।

শনিবার সিটের আইও অরুণাভ দাস সিবিআই বেস ক্যাম্পে আসেন। ১ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন হাজিরা দেন কংগ্রেস নেতা দেবদুলাল চট্টরাজ, কুটিডি হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক যামিনী মণ্ডল, প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ চৌরাসিয়া ও সুভাষ গড়াই। দেবদুলালের ফোন থেকেই নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে ফোন করে ছিলেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। পরবর্তীকালে সেই অডিয়ো ভাইরাল হয়।

ওই অডিয়োতে সঞ্জীব ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মিঠুন দেখ, তোরা আমার কাছে কমপ্লেন দিচ্ছিস আমারই বিরুদ্ধে, এটা কি হয় ? কারণ কেসটা তো আমাকেই করতে হবে, যেটা তুই আমার নামে দিচ্ছিস সেটা তোর আমার ওপরে রাগ আছে, অভিমান আছে, সব আছে, ঠিক আছে, তুই ডাইরেক্ট আমার নামে দে, আমি বলছি, তুই যদি মনে করিস আমার চাকরি চলে গেলে, আমি সাসপেন্ড হয়ে গেলে, আমার বউ ছেলে না খেতে পেলে তোর লাভ হবে, উপকার হবে।

ওই অডিয়োতে আইসিকে আরও বলতে শোনা যায়, একটা শুধু যামিনী বাবুকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছি। তুই তোর কাকিমাকে দিয়ে টিপ ছাপ দিয়ে দে। সেরকম যদি শোনার পর সই করতে অসুবিধা হয়, ওটাকে এলটিআই বলে লিখে দেব অসুবিধার তো কিছু নেই, আর দেখ আমি আর কি বলব, আর তো বলার কিছু নেই, যেটা ভালো বুঝিস কর, তোরা যদি মনে করিস আমাকে মেরে ফেললে তোদের লাভ হবে, চলে আয় আমার কাছে বন্দুক আছে, দিয়ে দিচ্ছি। গুলি করে মেরে দিয়ে চলে যা, তোর কাকার খুনের বদলা হয়ে যাবে, আর কী আছে?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*