১২৫ তম বর্ষে পদাপর্ণ করল রামকৃষ্ণ মিশন। রবিবার সকাল থেকেই সেই উপলক্ষে বেলুড়ে নানারকম অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করা হচ্ছে ভারত সরকারের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন কেন্দ্রের তরফে বেলুড়ে একটি লিখিত বার্তাও পাঠানো হয়েছে। এদিকে রামকৃষ্ণমঠের সন্ন্যাসী ও ভক্তদের টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮৯৭ সালের ১ মে বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতে একটি সভা তৈরি করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেখানে বিবেকানন্দই বলেছিলেন সংঘ ব্যতীত কোনও বড় কাজ হয় না। এরপরই ৫ মে সংঘের নামকরণ করা হয় রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশান। অর্থাৎ ১২৫ বছর আগে আজকের দিনেই সংঘ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বামীজি। এদিনেই পথচলা শুরু রামকৃষ্ণ মিশনের। সেই উপলক্ষে রবিবার বেলুড় মঠে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ উদ্বোধনী ভাষণ দেন। প্রথম দফার অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে বেলা সাড়ে এগারোটায়।
দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৪ টেয় শুরু হবে অনুষ্ঠান। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দ। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে করোনা বিধি। মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভক্তদের জন্য স্যানিটাউজার ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গোটা অনুষ্ঠান দেখা যাবে ইউটিউবে। শুধু আজকের দিনই নয় ২০২৩ সালে ১ নে পর্যন্ত ১২৫ তম বর্ষ উদযাপনে নানারকম অনুষ্ঠান চলবে।
এদিন মোদির নির্দেশে কেন্দ্রের তরফে লিখিত বার্তা পাঠানো হয়েছে বেলুড়ে। সেখানে আজকের দিনটিকে ক্রান্তিকারী দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “সমস্ত সন্ন্যাসী, ভক্ত ও যে সকল ছাত্ররা মিশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানাই।”
Be the first to comment