খুব শীঘ্রই উত্তর ভারতের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে যাবে। এমনই ভবিষ্যদ্বানী আবহাওয়া দপ্তরের ডিজি ডা. এম মহাপাত্রর। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা গত ১২২ বছরের তাপমাত্রার ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। গড়ে এপ্রিলের সর্বাধিক তাপমাত্রার নিরিখে এই এপ্রিলেই সবচেয়ে বেশি পারদ চড়েছে। বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলির তাপমাত্রাই সবচেয়ে বেশি ছিল। আগামী আরও পাঁচদিন দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ, পূর্ব রাজস্থান ও তেলেঙ্গানার উত্তর অংশে তাপপ্রবাহ চলবে। গত ৭২ বছরের আবহাওয়ার ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন উষ্ণ এপ্রিলের মুখোমুখি হলেন দিল্লিবাসী।
দেশের অন্যতম সেরা আবহবিদের কথায়, সাধারণত মে মাসকে সর্বাধিক গরমের মাস বলে মনে করা হয়। কিন্তু এবার উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ভারতে এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩.৩৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে মধ্যভারতে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা ৩৭.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড এ বছর ভেঙে গেল। বেড়ে হয়েছে এবার ৩৭.৭৫ ডিগ্রি। মে মাসেও দেশের এই দুই অংশের গড় তামপাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান আবহাওয়া অফিসের কর্তাদের।
এদিকে দীর্ঘ দাবদাহের অস্বস্তির পর গতকাল মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীতে ভিজেছে কলকাতা-সহ প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গ। শনিবার সন্ধে নাগাদ ঝড়ের পর তুমুল বেগে বৃষ্টি নামে। তপ্ত শহর তৃষ্ণা মেটায়। জ্বলতে থাকা পুরুলিয়া, বাঁকুড়়াতেও খানিকটা স্নিগ্ধতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে নতুন অশান্তিও নিয়ে এল কালবৈশাখী। ঝড়বৃষ্টিতে রাজ্যে প্রাণ হারান ২ জন। একাধিক লাইনে ব্যাহত হয় রেল চলাচল। বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা।
দক্ষিণবঙ্গে কয়েকটি জেলায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে গতকাল। আর তাতেই বিপত্তি হয়। পুরুলিয়ায় ঝড়বৃষ্টিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, খড়গপুরেও বৃষ্টি চলাকালীন লোহার তোরণ ভেঙে পড়ে এক বাইক আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যায়। এতদিন প্রবল দাবদাহের জেরে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। এবার কালবৈশাখীও প্রাণ কাড়ল।
Be the first to comment