অর্ণব, ধানবাদ (ঝাড়খন্ড ) –
আমার বড় মেয়ের জিদের কাছে অবশেষে হার মেনে ঠিক হলো রাঁচী যাবো দিন দুয়েকের জন্য, কিন্তু রাঁচী গিয়ে করবো কি সে বিষয়ে প্রথম থেকেই মনটা খুব খুঁতখুত করছিল । ওকে অনেক বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম যে দীঘা বা মন্দারমনি অনেক ভালো জায়গা, ওখানে সমুদ্র আছে আর সে তুলনায় রাঁচীতে বিশেষ কিছুই নেই । বাচ্চারা যে বাচ্চাই হয়, আর সেই জিদের কাছে হার মেনে শনিবার সকাল সওয়া নটা নাগাদ আমরা চারজন মানে আমার স্ত্রী, আমি, আমার দুই মেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম রাঁচীর উদ্দশ্যে । বড় মেয়ের স্কুলে গরমের ছুটিতে একটা প্রজেক্ট দিয়েছিলো ঐতিহাসিক স্থান দর্শন ও তার ছবি সহ বর্ননা, কিছুতেই মাথায় আসছিলো না কোথায় নিয়ে যাবো । অনেকদিন আগে বেতলা ফরেষ্টের নাম শুনেছিলাম, রাঁচীর কাছাকাছি কোথাও, সেইমতো আমার এক সহকর্মী বন্ধুকে ফোন করে পথ নির্দেশিকা নিয়ে এগিয়ে চললাম বেতলা জঙ্গলের দিকে । নেট ঘেটে মেয়ে বললো সেখানে নাকি বাঘ, লেপার্ড, নানান প্রজাতির পাখী, হরিণ, হাতি, বাইসন আরোও অনেক কিছু আছে, বেশ উদ্দীপ্ত লাগছিলো মেয়েকে ।
রাঁচী থেকে কুড়ু হয়ে ডাল্টনগজ্ঞের রাস্তা ধরে আমরা এগোচ্ছিলাম, পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ী নিজে চালাবার অনুভূতি বরাবরই অন্যরকম, এবারেও তার ব্যতিক্রম হলোনা । লাতেহার পৌঁছৈ আমরা খাওয়া দাওয়া সেরে যখন শাল, সেগুন, অর্জুনের ছায়া ঘেরা পথ ধরে এগিয়ে চলেছি তখন সবার মনে বেশ টানটান উত্তেজনা, তখনও প্রায় একশো কিলোমিটার রাস্তা বাকী কিন্তু মনে হচ্ছে এপথ যেন শেষ না হয় । কত অজানা তথ্য এই জঙ্গলের মধ্যে হয়তো লুকিয়ে আছে অথচ আমরা তার বিন্দু বিসর্গও বুঝে উঠতে পারছিনা । প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে এই জঙ্গলটি সহ এরকম একাধিক জঙ্গল পালামু বা পালামৌ ফরেষ্টের অধীনস্থ, লেখক সজ্ঞীব চট্টোপাধ্যায়ের পালামৌ ভ্রমনে আমারা পালামৌ সম্বন্ধে অনেকেই হয়ত কমবেশি ওয়াকিবহাল । কিন্তু বইপড়া আর নিজের চোখে সাক্ষাৎ দর্শন কখনই যে এক নয় তা চাক্ষুস হলো । পাহাড়ের গা বেয়ে বেয়ে একবার ওপরে ওঠা একবার নিচে নামা, আহা! কি যে আনন্দ তা বলে হয়তো বোঝাতে পারবোনা ।
সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ পৌঁছালাম বেতলা ফরেষ্ট, নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস ভরপুর ছিলো যে এই গরমে কোন পাগলই আসবেনা জঙ্গল ভ্রমনে, তাই সদর্পে গাড়ী নিয়ে ঢুকলাম সোজা বনদপ্তরের বাংলোয় । কিন্তু না, নিমেষেই নিজের ভূল ভাঙলো, রুম চাইতেই উত্তর এলো খালি নেয় । উপায়, অবশেষে বাংলোর একজন বললো পাশে একটি বেসরকারি হোটেল আছে, দেখে নিতে পারেন । অগতির গতি, সেখানে গেলাম এবং একটি এ সি রুম নিলাম, হোটেলটি এখনও নির্মিয়মান, ওপরের পাঁচ ছয়টি রুম তৈরী হয়েছে কোনরকমে । বাইরে অজস্র গরম, গা দিয়ে তখনও ঘামের বৃষ্টি হয়ে চলেছে, এ সি রুম না পেলে কপালে যে সেদিন কি ছিলো তা বলাই বাহুল্য । তবে রাতের ডিনার কিন্তু খুব সুন্দর করিয়েছিলেন ম্যনেজার ভদ্রলোক, সেজন্য অবশ্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ । পায় ৩৩৪ কিমি গাড়ী চালিয়ে শরীরে আর কিছু অবশিষ্ট ছিলোনা, তাই রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লাম, কারন অবশ্য আর একটাও ছিলো তা হলো পরেরদিন সবার আগে প্রথম জঙ্গল সাফারীটা যাতে সেরে ফেলতে পারি ।
পরেরদিন ঠিক সকাল সাড়ে পাঁচটায় পৌঁছে গেলাম গেটের কাছে, হাতি ও জিপ দুধরনেরই ব্যবস্থা ছিলো কিন্তু হাতিতে সাফারির ইচ্ছে থাকলেও তা হলোনা কারন কেউ একজন আমাদেরও আগে পৌঁছে হাতি বুক করে রেখেছে । অগতির গতি ৭৫০টাকা /প্রতি ঘন্টা দর দিয়ে আমরা জিপ বুক করলাম, যদিও গেট খোলার নিয়ম সকাল ছটায় কিন্তু পর্যাপ্ত রক্ষনাবেক্ষন ও পাহাড়া না থাকার ফলে আমরা পৌনে ছটা নাগাদ গাইড মুস্তাফা জী ও ড্রাইভার নাসিফুল্লার সাহায্যে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে পড়লাম । জিপের যে বিকট শব্দ তাতে হাতি বাঘ যে দুরের কথা আমরা মশা মাছি দেখতে পেলেই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করবো,এ সন্দেহ যে একেবারেই অমূলক নয় তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম । কয়েকটি হরিণ, গোটা দশেকের মত ময়ুর, নীলকন্ঠ পাখী, বক ও কয়েকটি ভিন্ন প্রজাতির পাখীদের সৌন্দর্য্য দেখে মন ভরাতে হলো । তাদের কাছে জানতে পারলাম বেতলা জঙ্গলে একটি পুরুষ বাঘ ও একটি মাত্র মহিলা বাঘ সশরীরে বিরাজমান রয়েছে, এছাড়া লেপার্ড কিছু সংখ্যক বিদ্যমান । জিপে করে অর্ধেক জঙ্গল চষে ফেললেও চোখে পড়ার মতো কিছুই পেলাম না তবে চুড়ান্ত অব্যবস্থার দরুন জঙ্গলের সৌন্দর্য্যয়নের যে ক্ষতি হয়ে চলেছে প্রশাসন সে ব্যপারে কতটা উদাসীন তার নিদর্শন অবশ্যই পেলাম । এই প্রচন্ড গরমে জন্তু জানোয়ারদের জন্য জলের অপরিমিত ব্যবস্থা তদুপরি অপরিচ্ছনতা চোখে পড়ার মত ।
পৌঁনে সাতটা নাগাদ আমরা জিপ সাফারী করে ফিরে দেখলাম হাতি ও মাহুত একা দাঁড়িয়ে, তখনও হয়তো বাকী পর্যটকদের সকলের ঘুম ভাঙেনি । তাই দেরী না করে ৪০০টাকা/প্রতি ঘন্টা দরে হাতির পিঠে চড়ে বসলাম আমরা, ধীরে ধীরে মাহুত খান চাচা হাতিকে নিয়ে জঙ্গলের একেবারে গভীর অংশে পৌঁছে গেলো সঙ্গে সাফল্যও এলো । দর্শন পেলাম বেশ কিছু বাইসনের । এখানে একটা কথা বলে রাখি, হাতির সাফারী সারাদিনে মাত্র দুবার হয় এবং সেটাও সকালে। আমাদের আগের ট্রিপে যারা হাতি সাফারীতে গেছিলেন তারা সৌভাগ্যক্রমে লেপার্ডের দর্শন পেলেও আমাদের ভাগ্যে তা জুটলো না, কারন হিসেবে অবশ্যই আমাদের বেশভূষা । আমরা প্রত্যকেই হাফপ্যান্ট আর
চটি পরেছিলাম, যেটা জঙ্গল সাফারীর অনুকুল নয় । ফলত যেখানে লেপার্ড দেখতে পাওয়া যেত সেখানটা কাঁটাবৃত হওয়ার জন্য আমরা ঢুকতে পারলাম না । কিন্তু আমরা যা পেলাম তা হয়তো অভাবনীয়, হাতির পিঠে বসে মুষলধারে বৃষ্টি আর হালকা হাওয়ার সমষ্টি একটা অন্যরকম রোমাঞ্চের সৃষ্টি করেছিলো । যাই হোক লেপার্ড না দেখার বিষন্নতা ও বাইসন দেখতে পাওয়ার উৎফুল্লতা নিয়ে প্রায় আটটা নাগাদ আমরা হোটেলে পৌঁছালাম, স্নান করে এলাম বনবিভাগের রেষ্টুরেন্টে জলখাবারের জন্য । ওখান থেকে সন্ধান পেলাম নেতার হাটের ও প্রাচীন এক দূর্গের ব্যপারে, বেতলা ফরেষ্ট থেকে সামান্য দূরে রয়েছে আদিবাসী রাজা মেদিনী রায়ের ঐতিহাসিক দূর্গ । মুস্তাফাজীর তত্বাবধানে ঘুরে নিলাম সেই ঐতিহাসিক দূর্গ ও রাজার নিজস্ব সরোবর কমলদহ বা কমল দিঘী । এখানেও সবচেয়ে বেশী যেটা নজরে পড়লো তা হলো রক্ষনাবেক্ষন, প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন এই দূর্গ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে প্রতিদিন ক্ষয়ে চলেছে, ভেঙে পড়ছে একের পর এক নকশা করা দেওয়াল, স্তম্ভ । এই ভাঙা কেল্লা এখন স্থানীয় গবাদি পশুর অবাধ বিচরন ক্ষেত্র । কেল্লার মাথায় উঠলে বেতলা ও যতদূর চোখ যেতে পারে তার দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর । পুরো জায়গাটা যেন মনে হয় হাতের তালুর মধ্যে বন্দী করে নিতে পারবো, দূর্গের পাশে কোয়েল নদীও বেশ মানানসই । তবে নদীতে সারা বছর জল থাকতো না বলে বোধহয় রাজা মেদিনী রায় কমলদহ বানিয়েছিলেন । কমলদহ নামটা সার্থক, অসংখ্য পদ্ম ফুটে রয়েছে এই সরোবরে ও কয়েকটি নাম না জানা প্রজাতির পাখিরা বেশ নিজের মনেই খেলে চলেছে । এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার বিরাজমান, কিন্তু কেন এই ওয়াচটাওয়ার তা জানতে না পারলেও সরোবরটির চতুর্দিক গাছ গাছালি দিয়ে ঘেরা থাকার জন্য এখানে অনায়াসেই ঘন্টা খানেক কাটানো যেতে পারে । সময়ের অভাবে আমরা বেড়িয়ে এলাম, রওনা দিলাম নেতার হাটের উদ্দশ্যে ।
নেতার হাট তো যাবো, কিন্তু হোটেল কোথায় পাবো? সকালে জলখাবার সময় একটা গ্রুপের সাথে আলাপ হয়েছিলো, ওনারা বললেন উইকএন্ড থাকার জন্য নাকি যথেষ্ট ভীড় রয়েছে তাই হোটেল পাওয়া গেলেও খুবই সাধারণ মানের হবে । উপায়, উপায় অবশ্য খুব সহজেই হলো, আমাদের জীপের ড্রাইভার নসীফুল্লাজীর সাহায্যে নেতারহাট বন দফ্তরের প্রভাত বিহার হোটেলে আমাদের রুম বুক হলো । হোটেলের ম্যানেজার আলম বাবু আসলে নসীফুল্লাজীর নিজের ভাই, সুতারাং আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে শুরু করলাম আমাদের যাত্রা । আবার সেই শাল, সেগুন, অর্জুনের পাশ দিয়ে পাহাড়ী রাস্তার আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে চলেছি, ঘন জঙ্গল আর তার মাঝে শুধু আমরা চারজন আমাদের গাড়ীতে সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আহা! কি যে সে মোহময় পরিবেশ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা । প্রান খুলে গাইতে ইচ্ছে করছে এই পথ যদি না শেষ হয়, ভোরে ওঠার সুবাদে আমার দুই মেয়ে তখন নিদ্রাদেবীর আরাধনায় মগ্ন । আমরা দুজন পাহাড়ী পথ ধরে বকবক করতে করতে চলেছি আর ক্রমাগত গিলে চলেছি জঙ্গলের সৌন্দর্য্য, খুব ভোরে ওঠার দরুন আমিও ক্লান্ত ছিলাম, ফলত একটু ঘুমাতে না পারলে যে পাহাড়ী রাস্তায় অকস্মাৎ দুর্ঘটনায় পড়তে পারি তা বিলক্ষন অনুভব করছিলাম । সেইমতো একটা গাছের তলায় গাড়ীটা দাঁড় করিয়ে আধঘন্টার মতো ঘুমিয়ে নিলাম , জায়গাটা সম্ভবত মহুয়াডহর বা মহুয়াটাঁড় । এখান থেকে ২১ কিমি ডানদিকে গেলে পাওয়া যাবে ঝাড়খন্ডের সবচেয়ে উচ্চতম জলপ্রপাত লোধ, শারীরিক দুর্বলতা থাকায় আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা এই সৌন্দর্য্য থেকে বঞ্চিত হলাম, আবার এখান থেকে বামদিকে ৪৫ কিমি রাস্তা গেলে আমরা পৌঁছে যাবো নেতার হাট, যা ঝাড়খন্ডের একমাত্র হিলস্টেশন । নেতারহাটকে উদ্দশ্যে করে আমাদের গাড়ী এগিয়ে চললো, বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম অপরূপা নেতারহাট ও আমাদের হোটেল প্রভাত বিহার। খিদেয় পেট চুঁইচুই করছে , ম্যানেজার আলম বাবু খুব যত্ন করে আমাদের খাওয়ালেন যেন ঠিক ঘরে বসে খাচ্ছি । গরমগরম ভাত, মুরগীর মাংস, ডাল ও সব্জী উদরস্থ করে বসলাম আলম বাবুর সাথে গল্প করতে । উনি জানালেন এখানে দেখার দুটি প্রধান আকর্ষন হচ্ছে সূর্য্যেদয় ও সূর্য্যাস্ত, বিকেলের আবহাওয়া মেঘলা থাকার জন্য ৯ কিমি দূরে সূর্য্যাস্ত দেখতে যাওয়া নিছকই বেকার হবে ভেবে মন খারাপ হয়ে গেল, তবে উনি আশ্বাস দিলেন সূর্যোদয় দেখতে আমাদের বাইরে কোথাও যেতে হবেনা । প্রভাত বিহার হোটেল থেকেই সূর্যোদয় দেখা যায় এবং তা নাকি অপূর্ব । এক্ষেত্রেও বিধি বাম, যথারীতি বাদলাচ্ছন্ন আকাশ থাকার জন্য আমরা সূর্যোদয় দেখার থেকে বঞ্চিত হলাম । এককথায় নেতারহাটের সবটুকু রূপ গন্ধ স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য নিজের ভাগ্যকেই দায়ী করা ছাড়া উপায় সেইমুহুর্তে ছিলোনা, পরেরদিন যেহুতু বেড়িয়ে আসতে হবে তাই হাতে সময় কম । একরাশ নিরাশা আর আগামীদিনে আবার আসার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম বাড়ীর উদ্দশ্যে ।
নামে নেতারহাট বা ঝাড়খন্ড হলেও এই রাস্তায় চললে গ্যাংটকের রাস্তা বলে ভুল হতে যে কেউ বাধ্য হবেন । ঠিক যেন মনে হবে ঝাড়খন্ড নয় আমরা যেন সিকিমে চলে এসেছি, তবে এখানে আসতে গেলে কিছু নিয়ম নীতি না মেনে চলে এলে কপালে দুর্ভোগ অবশ্যম্ভাবী ।
১) এটিএমের ওপর নির্ভর করা যাবেনা, কারন বেতলা বা নেতারহাটে একটি করে এ টি এম যা কিনা রবিবার বা সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে এবং সন্ধ্যেবলায় বন্ধ হয়ে যায়, তাই পকেটে পর্যাপ্ত টাকা থাকা বাঞ্ছনীয় ।
২) বেতলা বা নেতারহাট আসার সবচেয়ে ভালো সময় হলো অক্টোবর-ফেব্রুয়ারী ।
৩) রাঁচী থেকে নেতারহাট প্রথমে এলে বেতলা যাবার দিন লোধ জলপ্রপাত দেখা যাবে কোন অতিরিক্ত সময় ব্যয় ব্যাতীত ।
৪) রাঁচী থেকে বেতলার দূরত্ব ১৮৫কিমি প্রায়, আর বেতলা থেকে নেতার হাটের দূরত্ব ১২০কিমি প্রায়, সেক্ষেত্রে রাঁচী থেকে নেতারহাট ১৫০ কিমি দূরত্ব প্রথম দিনে অতিক্রম করলে শারীরিক দূর্বলতা কম হবে ও সূর্য্যেদয় বা সূর্য্যাস্ত দেখার সুযোগ বেশী থাকবে ।
৫) বন বিভাগের হোটেলে থাকতে গেলে আগে থেকে বুক করা শ্রেয়, নচেৎ বেসরকারি হোটেলে থাকতে হবে এবং সেক্ষেত্রে পরিষেবা উন্নতমানের নাও পাওয়া যেতে পারে ।
উপোরিউক্ত কথাগুলি মনে রাখলে আশা করি ঘোরাটা যথেষ্ট সুখকর হবে । নিজস্ব গাড়ী থাকলে তো কোন কথায় নয়, নতুবা রাঁচী থেকে গাড়ী ভাড়া করেও যাওয়া যেতে পারে । ঝাড়খন্ডের আশেপাশের মানুষেরা, বিশেষত যারা প্রকৃতি প্রেমিক তারা অবশ্যই খুবই কম খরচে এই জায়গা দুটি দিন দুই-তিন হাতে সময় নিয়ে এসে ঘুরে যেতে পারেন । পর্যটন সন্বন্ধে ঝাড়খন্ড সরকারের উদাসীনতা হয়তো আমাদের মতো প্রকৃতি প্রেমিকদের থেকে এই জায়গাগুলিকে লুকিয়ে রেখেছে কিন্তু আমরা এই উদাসীনতাকে উপেক্ষা করে আগামীদিনে নেতারহাট বা বেতলার মতো জায়গাগুলিকে আরোও সমৃদ্ধ করতে পারি । তাই আর বিশেষ দেরি নয়, এখনই ব্যাগ গুছিয়ে তৈরী হয়ে নিন যে কোন উইকএন্ডের জন্য ।
Be the first to comment