ভবানীপুর এলাকায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সকলের চোখ এড়িয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁচিল টপকে অন্দরে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, সকলের অগোচরে রাতভর বাড়ির ভিতরে ঘাপটিও মেরে রইলেন। পরে সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসায় শুরু হয়ে যায় শোরগোল। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার দরুণ জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কিভাবে এত কড়া সুরক্ষা বলয় পেরিয়ে ওই ব্যক্তি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লেন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে এতটা সময় বাড়ির মধ্যে কাটানো সত্ত্বেও কী করে কারও নজরে এল না বিষয়টি তাই সেটাই সবথেকে আশ্চর্যজনক বলে দাবি। পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক সামনে এল।
জানা গিয়েছে, আঁটোসাঁটো সুরক্ষা পেরিয়ে আনুমানিক শনিবার রাত একটার পর ওই ব্যক্তি পাঁচিল টপকে ৩৪বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। সারারাত ভিতরে থাকার পর সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় কালীঘাট থানায়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। তবে কী কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকেছিল ওই ব্যক্তি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে কারও নির্দেশে তিনি ওই কাজ করেছিলেন কিনা তাও জেরা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা মজবুত সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। একইসঙ্গে ভবানীপুর কাণ্ডের মাস পেরতে না পেরতে কলকাতার সবথেকে হাই সিকিওরিটি জোনে এমন কাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।
Be the first to comment