তরুণ মজুমদারের শেষ ইচ্ছে ছিল, মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহে যেন কেউ ফুল বা মালা না দেন। কোনও শোক যাত্রার আয়োজন না করা হয় । কিংবা সরকারি কোন প্রেক্ষাগৃহে তাঁর মরদেহ যেন নিয়ে যাওয়া না হয়। তরুণবাবু এবং তাঁর পরিবারের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতে মরদেহ নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে না।
সিপিএম নেতা রবীন দেব এবং শতরূপ ঘোষ জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে থেকে এনটিওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ। সেখান থেকে আবার এসএসকেএমের একাডেমিক বিল্ডিং এ নিয়ে আসা হবে। দেহ দান করা হবে হাসপাতালে। সেরকমই ইচ্ছে ছিল প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালকের।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তারুণ মজুমদারেকে গান স্যালুট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকেরা এবং সিপিএম নেতৃত্বর তরফে জানানো হয়েছে, তরুণবাবু এসবের অত্যন্ত বিরোধী ছিলেন। তাই সরকারি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, প্রয়াত চিত্রপরিচালকের পরিবার যেমনটা চাইবেন সেই মতোই ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে এসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তিনিও একই কথা জানান। সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, প্রয়াত চিত্রপরিচালককে যারা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁরা যেন ফুল বা মালা না নিয়ে আসেন।
Be the first to comment